Wednesday, May 8, 2024

কালীগঞ্জে জমি জোরপূর্বক ভোগ দখল আদালতে রায় পেলেও, প্রতিপক্ষকে হয়রানির অভিযোগ

- Advertisement -

সুজন হোসেন,কালীগঞ্জ( ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের সাতগাছিয়া গ্রামের মৃত কোমর উদ্দিনের ছেলে সাখাওয়াৎ উল্লাহ, নুর মোহাম্মদ, মুনছুর আহম্মদ এবং একই গ্রামের মৃত বদর আলীর ছেলে মমিনসহ তার ৬ ভাই ও ২ বোন আজ থেকে অনুমানিক ৪৪ বছর আগে সাতগাছিয়া গ্রামের মৃত সুরত আলী মালিথার ছেলে আহম্মদ উল্লাহ, পরশ উল্লা, ইসলামইল ও মেয়ে কুমারী বিবির নিকট থেকে পর্যায় ক্রমে সাতগাছিয়া মৌজার ১০৭ দাগের ৮০ শতক জমির মধ্যে ৭২ শতক জমি ক্রয় করেন। একই দাগের বাকী ৮ শতক জমি সাখাওয়াৎ উল্লাহরা গত ৪৪ বছর ধরে জোরপূর্বক ভোগ দখল করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সুরত আলী মালিথার ওয়ারেশগণ।

সুরত আলীর পোতা ছেলে ইদ্রিস আলী বলেন, আমার দাদার ৮০ শতক জমির মধ্যে আমার বাবারা তিন ভাই একেকজন জমি পায় ২৩ শতক করে আর ফুফুর অংশ ১১ শতক। এরমধ্যে আমার ফুফুর ১১ শতক, আমার ২ চাচার ৪৬ শতক এবং আমার বাবার ২৩ শককের মধ্যে ১৫ শতক জমি পুকুর সহ সাখাওয়াৎ উল্লাহদের পরিবারের নিকট বিক্রয় করে দেন। এই জমি যখন বিক্রয় হয় তখন আমার বয়স ৫ বছর। আর এই জমি বিক্রয় করার পরপরই আমার বাবা মারা যায়। আমি তখন জানতাম না যে এখানে আমার বাবার আরও ৮ শতক জমি আছে। আজ থেকে ১৩ বছর আগে যখন ঐ পুকুরের পাকা বাউন্ডারী দেয় তখন এক সাবেক মেম্বরের নিকট জানতে পারি এই পুকুরের মধ্যে আমার বাবার ৮ শতক জমি আছে। তখন আমি সাখাওয়াৎ উল্লাহদের নিকট ৮ শতক জমির দাবি জানাই। এরপর তারা আমাকে বলেন জমি পেলে মামলা করে এসে তারপর জমি নাও।

যথা রীতি আমি ১০ বছর আদালতে মামলা চালিয়ে আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। রায়ের পর পুকুরের ৮ শতক জলাকার আমি বাঁশের খুটি দিয়ে দখল করি। তখন তারা জোরপূর্বক বাঁশ খুটি উঠিয়ে দেয়। এবং তারা আবার আদালতে আপিল করে আরও ৩ বছর মামলা চালিয়ে গত ২৩/১১/২০২১ তারিখে আদালত আবারও আমার পক্ষে রায় দেন। এরপর আমি আবার পুকুরের জমি দখল করে মাছের চাষ শুরু করি। এরপর গত ১০/০১/২০২২ তারিখে তারা আদালতে আপিল করলে আদালত ১৪৪ ধারা জারি করেন। তারা নিজেরাই আবার ১৬/০২/২২ তারিখে মামলা প্রত্যাহার করে নেন। এরপর আমরা পুকুরের মধ্য থেকে ৮ শতক জমি মাটি দিয়ে ভরাট করি। মাটি ভরাট করার পর সাখাওয়াৎ উল্লাহরা আবারও আমাকে হয়রানি করার জন্য আদালতে আপিল করেন। আইনশৃখলা অবনতি যাতে না হয় তার জন্য আদালত ঐ জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন যা আগামি ১৪/০৭/২০২২ তারিখ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। বর্তমানে আমি আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ধার্য্য তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষায় আছি। পুনরায় যেন আমাকে এভাবে হয়রানীর শিকার না হতে হয় তার জন্য আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ সকলের নিকট সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এ ব্যাপরে জানতে চাইলে, কোমর উদ্দিনের ছোট ছেলে মুনছুর উদ্দিন মাষ্টার জানান, আমরা ক্রয় সূত্রে এই ৬৯ শতক জমির মালিক। আর ১১ শতক জমির ক্রয় করে সাতগাছিয়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দনের ছেলে মমিনসহ তারা ৮ ভাই বোন। আমরা ৮টা দলিলের মাধ্যমে এই জমি ক্রয় করেছি। যাদের কাছ থেকে ক্রয় করেছি তারা হলো-এই সাত গাছিয়া গ্রামের মৃত সুরত আলী মালিথার ছেলে আহম্মদ উল্লাহ, পরশ উল্লাহ, ইসলামইল ও মেয়ে কুমারী বিবি। এদের সবার বড় ভাই আহম্মদ উল্লাহ ২৫ শতকের বেশী জমি বিক্রয় করেছে। আহম্মদের মুলত ভাগের ভাগ জমি পাবে ২২ শতক ৮৫ পয়েন্ট। তাদের মেঝ ভাই পরশ উল্লাহর নিকট থেকে ২২ শতক ৮৫ পয়েন্ট জমির মধ্যে ১৫ শতক জমি আমরা ক্রয় করি। বাকী জমি তার বোন আর ভাগ্নেদের নিকট ক্রয় করি। এই জমিটা নিয়েই এখন এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আবার আমাদের জমির কাগজপত্র সহ আপিল করেছি। বর্তমানে ঐ পুকুরের জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত