ভোটের ফলাফলে মতিয়ার। সরকারি গেজেটে শামসুর। মেম্বার আসলে কে? এক ওয়ার্ডে কি দুই মেম্বার? এমন প্রশ্নের ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে। উত্তর জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটেছে যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের। ঘটনা এক মুখ থেকে শত মুখে ছড়িয়ে যাওয়ার পর শুরু হয়েছে তোলপাড়। হাটে কিংবা মাঠে, সবখানে একটাই আলোচনা। মেম্বার কে?
গত ৫ জানুয়ারি পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কাশিমপুরেও চলে ভোটগ্রহণ। সন্ধ্যায় ৪ নং ওয়ার্ডে মতিয়ার রহমানকে ১৫ ভোটে বিজয়ী ঘোষনা করে ফলাফল ঘোষনা করেন মিরাপুর দাখিল মাদ্রাসায় দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার। প্রিজাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ফলাফলের কপি নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সকল প্রার্থীর এজেন্টরা বুঝে নেন।
ফলাফল অনুযায়ী, টিউবওয়েল প্রতীকে মতিয়ার রহমান পান ছয়শ’৬৬ ভোট। অন্যদিকে, শামসুর রহমান তালা প্রতীকে পান ছয়শ’৫১। ব্যবধান ১৫। এরপর মতিয়ার রহমানকে মেম্বার ঘোষণা করে গলায় ফুলের মালা দিয়ে বিজয় মিছিল করে তার কর্মী-সমর্থকরা। আনন্দ-উল্লাসের পাশাপাশি করানো হয় মিষ্টিমুখ। দিন গড়িয়ে এলাকায় পরিচিতি পান মেম্বার হিসেবে। তবে হঠাৎ ওলট পালট। ২৭ জানুয়ারি প্রকাশ পায় সরকারি গেজেট। তাতে মেম্বার হিসেবে নাম পাওয়া যায় পরাজিত প্রার্থী শামসুর রহমানের। যা দেখে রীতিমত হতবাক এলাকাবাসী।
গেজেটে উল্লেখ আছে, কাশিমপুর ইউনিয়নে দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম শামসুর রহমানকে বিজয়ী দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনে পাঠান। গেজেটে নিজেকে মেম্বার দেখার পর বসে নেই শামসুর। ওয়ার্ডবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিয়েছেন বিবৃতি।
নিজেকে মেম্বার উল্লেখ করে শামসুর বলেন, কেন্দ্রেও তিনি বিজয়ী ছিলেন। তবে একটি পক্ষ প্রভাব খাটিয়ে অন্যকে বিজয়ী ঘোষণা করে। গেজেটে সত্য দেখানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রে ঘোষিত ফলাফলে বিজয়ী মতিয়ার রহমান বলেন, সব প্রার্থীর এজেন্টদের সামনে রেখে ভোট গণনায় তিনি বিজয়ী হন। তবে গেজেটে তার নাম না আসায় হতবাক হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনে এ বিষয়ে চিঠি পাঠাবেন তিনি। আইনি প্রক্রিয়ায় লড়াই করবেন বলে জানান।
নবনিবার্চিত চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রের ফলাফলে মতিয়ার রহমানকে ১৫ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে কি কারণে গেজেটে তার নাম আসলো না, সেটি বোধগাম্য নয়।
এদিকে, দুই রকম ফলাফল নিয়ে ওয়ার্ডজুড়ে চলছে চরম উত্তেজনা। তর্ক-বিতর্কে বাকবিতন্ডায় জড়াচ্ছেন অনেকেই।
রাতদিন সংবাদ