সাত বছর বয়সী শিশু রাব্বী হত্যার দায়ে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বিলকিস বেগমকে আটক করেছে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ। বিলকিস যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামের আয়াতুল্লাহ খোমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী ও শিশু রাব্বির সৎ মা। সোমবার রাতে শার্শা উপজেলার তাউতাড়া গ্রামের বিলকিসের বাবার বাড়ি থেকে থেকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিকরগাছা থানার ওসি সুমন ভক্ত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১৩ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বালিয়া গ্রামের আয়াতুল্লাহ খোমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী বিলকিস বেগম তার সৎছেলে রাব্বীকে (০৭) ভাত খেতে বাড়িতে ডাকে। পরে বিলকিস ভাতের সঙ্গে ফুরাডান নামে একটি কীটনাশক মিশিয়ে দেয়। এরপর শিশুটি ছটপট করতে থাকে। প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং পরে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একইদিন রাত দু’টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাব্বী মারা যায়। পরে পুলিশ বিলকিসকে আটক করে।
এ ঘটনার পরদিন ১৪ অক্টোবর নিহতের চাচা মমিনুর রহমান বাদী হয়ে বিলকিসকে আসামি করে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা করেন।
২০১০ সালের ৯ এপ্রিল ঝিকরগাছা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) দিলিপ কুমার বিশ্বাস বিলকিসকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরের বছর ৪ জুলাই চার্জ গঠন করা হয়। বিলকিস ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বরে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন।
দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিলকিস বেগম দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৬ সালের ১১ মে যশোরের তৎকালীন স্পেশাল জজ নিতাই চন্দ্র সাহা বিলকিসের ফাঁসির আদেশ ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপর থেকেই সে পলাতক ছিলেন।
আফজাল হোসেন চাঁদ