Monday, April 29, 2024

কেশবপুরে নৌকার প্রার্থীর ছেলের মৃত্যু, বিদ্রোহী প্রার্থীর ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

- Advertisement -

কেশবপুর প্রতিনিধিঃ কেশবপুরে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামছুন্নাহার লিলির ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বিদ্রোহী প্রার্থীর ছেলেসহ কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে ১৪ডিসেম্বর দুপুরে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জন্য পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে যশোর মর্গে পাঠিয়েছেন।
অভিযোগ বলা হয়েছে কেশবপুর উপজেলার ১০নং সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামছুন্নাহার লিলির ছেলে মনিরুজ্জামান মিন্টুর  সঙ্গে ১৩ডিসেম্বর রাতে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সামছুদ্দীন দফাদারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ হয়। এক পর্যায়ে মনিরুজ্জামান মিন্টুকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় শামছুন্নাহার লিলির ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মশিয়ার রহমান দফাদার প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুদ্দীন দফাদারের ছেলে আমজেদ হোসেন , কর্মী আলমগীর হোসেন , মো. বাবলু, আব্দুর রাজ্জাক , জাকির হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। আওয়ামী লীগ নেতা মশিয়ার রহমান দফাদার দাবি করেন, আগামী ৫ জানুয়ারি ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই ব্যক্তিরা সাতবাড়িয়া বাজারে রাস্তার উপর সোমবার রাতে তার ভাগ্নেকে মারপিট করে।
কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমির আল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন মনিরুজ্জামান মিন্টুকে হাসপাতালে আনার পর ইসিজি করে মৃত্যু ঘোষণা করা হয়।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সামছুদ্দীন দফাদার  বলেন, তার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মনিরুজ্জামান মিন্টুর কোন বিরোধ হয়নি। তাকে কেউ মারপিট করেনি। মনিরুজ্জামান মিন্টুর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার কর্মী-সমর্থকদের হয়রানি করার জন্য অভিযোগ করা হয়েছে।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত