যশোরের খাজুরায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে রমরমা দেহ ব্যবসার অনৈতিক কারবার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে চক্রটি চলাচ্ছে মাদক বেচাকেনা ও সেবনের জমজমাট আসর। এখানে নানা বয়সী বিতর্কিত লোকজনের অবাধ আসা যাওয়া। এসব অনৈতিক কারবারের বিষয়টি এলাকাবাসী জানলেও প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার কতিপয় রাজনৈতিক নেতাকে ম্যানেজ করে দেহ ব্যবসা ও মাদকের কারবার চলছে। এতে করে ধ্বংসের মুখে স্থানীয় যুবসমাজ। উঠতি যুবকেরা বুদ হচ্ছে উভয় নেশায়। এ চক্রের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে। জিম্মি হয়ে পড়েছে একটি এলাকার আড়াইশ’ পরিবার। আতংকে স্থানীয় ধর্মগাতি সাকোই চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন অনেকে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার খাজুরা বাজার ব্রীজঘাট সংলগ্ন ধর্মগাতী কাপালিপাড়ায় গহর আলীর বাড়ি। বছর খানেক আলাউদ্দিন লস্কর নামে এক বহু বিতর্কিত ব্যক্তি বাড়িটি ভাড়া নেন। তিনি পার্শ^বর্তী পার্বতীপুর গ্রামের মৃত লাল মাহমুদ লস্করের ছেলে। প্রথমদিকে স্বামী স্ত্রী বসবাসের কথা বলে বাসা নিলেও পরে সেখানে গোপনে দেহ ব্যবসা শুরু করেন। রাতারাতি মোটা অংকের আয় দেখে পরবর্তীতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলেন। আলাউদ্দিন এই চক্রের মূল হোতা। তার চক্রে অনেক সদস্য রয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এরমধ্যে সদর উপজেলার আগ্রাইল গ্রামের মৃত ছমেদ মোল্লার ছেলে ইউনুস আলী, এনায়েতপুর গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে জসিম উদ্দীনসহ কতিপয় যুবক এসব কাজে বিভিন্নভাবে আলাউদ্দিনকে সহযোগিতা করে চলেছে। খোঁজখবর নিয়ে আরো তথ্য মেলে, আলাউদ্দিন ধর্র্মগাতী ঘোপদূর্গাপুর রাস্তার দিকে, ইউনুস আলী চিত্রা নদীর ধর্মগাতী আগ্রাইল সাঁকোই ও জসিম উদ্দীন ধর্মগাতী জামে মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার মুখে পাহারায় থাকেন। এদের সাথে আরও দু’যুবক টাকা ও পাহারা দেয়ার কাজে নিয়োজিত। আলাউদ্দিন চক্রটি সেখানে পেশাদার যৌনকর্মীও সরবারহ করেন। নদীর ওপার এনায়েতপুর থেকে আসছে গাঁজা ও ইয়াবা। সন্ধ্যার পর ওই বাড়িতে মাদক বেচাকেনা ও খদ্দেরদের নিয়ে সেবনের জমজমাট আসর বসায় সংঘবদ্ধ চক্রটি। এছাড়া গোপনে পেশাদার যৌনকর্মী রেখে অনৈতিক কার্যকলাপ চলছে খাজুরা বাজারের শিবের মোড় ও হাইস্কুল রোডের বিপরীতের তিনটি ভাড়া বাড়িতে। বাড়ি মালিকের শ্যালক জানিয়েছেন, তার ‘দুলাভাই বিষয়টি জানার পর ভাড়াটিয়া আলাউদ্দীনকে বাড়ি ছাড়তে বলেছেন। কিন্তু সে বাড়ি ছাড়তে চাচ্ছেনা, উল্টো ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, দিচ্ছে নানামুখি হুমকি।’ তথ্য মিলেছে, আলাউদ্দিনের স্ত্রী বর্তমানে দিনের বেলায় নিজ বাড়িতে থাকলেও রাতে ভাড়া বাড়িতে থাকছেন। ভোলপাল্টে ভিন্ন কৌশলে গভীর রাতে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে। এদিকে আলাউদ্দিন দম্পত্তির ঘৃণ্য কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে সম্প্রতি তার ছেলেকে তালাক দিয়েছে পূত্রবধূ। এর আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক সম্মানীত ব্যক্তির উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে আলাউদ্দিন। এছাড়াও তার হাতে এলাকার বিভিন্ন সাধারণ মানুষ নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংঘবন্ধ ওই চক্রে জড়িয়ে বাড়ির মালিক এখন তাদের হাতে জিম্মি। এ চক্রের মাধ্যমে ধর্মগাতি সাঁকোই এলাকায় একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। খাজুরা বাজারে ব্যবসা ও নিত্য প্রয়োজন শেষে সাঁকোই হয়ে ফেরার পথে ছিনতাই হচ্ছে। যে কারণে ধর্মগাতি ও আগ্রাইল গ্রামের আড়াইশ’ পরিবার সাঁকোটি ব্যবহার করতে পারছেন না।
এলাকাবাসীর অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রতিবাদ করার চেষ্টা করা হলে ওই চক্রের মদদদাতাদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে। যে কারণে অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়টি সবাই জানলেও কেউ প্রতিবাদ করে না। সন্ধ্যা নামলেই বহিরাগত ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বাড়ছে ওখানে। প্রথমে তারা ধর্মগাতী কাপালিপাড়া মাঠের রাস্তায় গভীর রাত পর্যন্ত খোলা কিছু চায়ের দোকানে এসে বসে। এরপর ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করে। ওই বাড়িতে চলা অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনায় ওখানে যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দীন জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে এ ধরণের অভিযোগ তার কাছে আসেনি। ছিনতাই চাঁদাবাজি কিংবা অনৈতিক কর্মকান্ড পুলিশ বরদাস্ত করবে না। ধর্মগাতি ব্রীজ এলাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা অনৈতিক কাজ হলে পুলিশ অবশ্যই তা বন্ধ করে দেবে। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জকে নির্দেশনা দেবেন। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। একই সাথে ভুক্তভোগী কিংবা অপরাধ কর্মকান্ড অবগত আছেন এমন কেউ থাকলে সরাসরি তার কাছে গিয়ে তথ্য সরবরাহ করতে পারেন বলেও জানান তিনি। তার নাম গোপন রাখা হবে।
এলাকাবাসীর অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রতিবাদ করার চেষ্টা করা হলে ওই চক্রের মদদদাতাদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে। যে কারণে অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়টি সবাই জানলেও কেউ প্রতিবাদ করে না। সন্ধ্যা নামলেই বহিরাগত ও মাদকসেবীদের আনাগোনা বাড়ছে ওখানে। প্রথমে তারা ধর্মগাতী কাপালিপাড়া মাঠের রাস্তায় গভীর রাত পর্যন্ত খোলা কিছু চায়ের দোকানে এসে বসে। এরপর ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করে। ওই বাড়িতে চলা অনৈতিক কর্মকান্ডের ঘটনায় ওখানে যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ উদ্দীন জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে এ ধরণের অভিযোগ তার কাছে আসেনি। ছিনতাই চাঁদাবাজি কিংবা অনৈতিক কর্মকান্ড পুলিশ বরদাস্ত করবে না। ধর্মগাতি ব্রীজ এলাকায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা অনৈতিক কাজ হলে পুলিশ অবশ্যই তা বন্ধ করে দেবে। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিতে খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জকে নির্দেশনা দেবেন। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। একই সাথে ভুক্তভোগী কিংবা অপরাধ কর্মকান্ড অবগত আছেন এমন কেউ থাকলে সরাসরি তার কাছে গিয়ে তথ্য সরবরাহ করতে পারেন বলেও জানান তিনি। তার নাম গোপন রাখা হবে।
রাতদিন সংবাদ
- Advertisement -