Monday, April 29, 2024

জাতির জনকের মত যে  সন্তান বাংলার মাটিতে জন্ম নিয়েছিল– মেয়র লিটন

মোঃ মাসুদুর রহমান শেখ বেনাপোলঃ যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, জাতির জনককে নিয়ে কথা বললে কথা ফুরাবে না। তিনি ছিলেন ছোট বেলা থেকে মানবদরদী। তার উদারতা, তার নেতুৃত্বের গুনাবলী.তার নির্লোভ দৃষ্টি ভঙ্গি, তার আচারন তার মহত্ত তার সত্যবাদিতা  তার সাহস, তার যোগ্যতা আকাশ চুম্বি। তাকে নিয়ে কথা বললে কথা শেষ হবার নয়। পুথিবীর কাছে আমাদের মাথা নত করে ফেলেছে হাজার বছরের গর্বিত সন্তান জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্যে দিয়ে। লক্ষ লক্ষ বছর পর যে মাটিতে জন্ম নিয়েছিল এই মাটিতে  সেই সন্তানকে আমরা রক্ষা  করতে পারি নাই। তাই এটা আমাদের লজ্জার মাস, কলংকর মাস। কথাগুলো বললেন বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি শার্শা উপজেলা মাহিলা আওয়ামীলীগের ১৫ আগষ্ট এর শোক ও স্মরন সভা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে মেয়র লিটন। সোমবার বিকাল ৫ টার সময় শার্শা মহিলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জাতির জনক শেখ মুজিব ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং ১৫ আগষ্ট এর সকল শহীদদের স্মরণে স্মরন ও আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি আমেনা খাতুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি মেয়র লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সেই মানুষ যে মানুষকে নিয়ে কবিতা লেখা হয়েছে পৃথিবীতে এত  সুন্দর কবিতা আর হবে না। তাকে নিয়ে সাহিত্য রচিত হয়েছে, তাকে নিযে নাটক রচিত হয়েছে, তাকে নিয়ে অনেক উপন্যাসও রচিত হয়েছে তিনি হচ্ছে আমাদের সেই পুরুষ যে পুরুষ আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। যে পুরুষ বাঙালীর হাজার বছরের  আমাদের লালনা, স্বপ্ন বাঙালীর হাজার বছরের ইচ্ছা  একটি মুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম স্বদেশ দিয়েছে। সেই পুরুষ এর  সহধর্মীনি আমাদের মা। এসময় তিনি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের সেই বিখ্যাত দুটি লাইন উচ্চারন করে বলেন, কোন কালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারী, প্রেরণা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে বিজয়ী লক্ষী নারী। নারী ছাড়া কোন পুরুষ পুর্ণ হতে পারে না নারী ছাড়া কোন পরিবার সুন্দর হতে পারে না। সেই মা আমাদের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা। আপনারা জানেন জাতির জনক যখন ছাত্রজীবন থেকে এদেশের মানুষের ভাগ্যের ও অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করতেন তখন থেকে তিনি জাতির জনককে সহযোগিতা করে আসছেন। জাতির জনকের পরিবারের ছিল অনেক ত্যাগ । জাতির জনকের সহধর্মীনি অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে তিনি ছেলে মেয়েদের দেখে রেখেছেন।  যখন জাতির জনককে বার বার জেল খানায় নিয়ে গেছে তিনি ছেলেমেয়েদের সামলিয়ে লেখা পড়া এবং খাবারের ব্যবস্থা করে বোরখা পরে নেতাদের সাথে দেখা করেছেন সংঘবদ্ধ করেছেন। তিনি বিভিন্ন নেতাদের তার স্বর্ণলংকার বিক্রি করে অর্থ যুগিয়েছেন স্বাধীন করার জন্য এদেশকে। তিনি জেলা খানায় যেয়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করে আন্দোলন সংগ্রামের নির্দেশনা নিয়ে আসতেন। তিনি সেই নির্দেশনা এনে নেতাদের কাছে পৌছে দিতেন গোয়েন্দাদের চোখ ফাকি দিয়ে। মেয়র লিটন আরো বলেন, জাতির জনকের মৃত্যুর পর কিছু সময় পর বঙ্গমাতা নিহত হয়েছিল ঘাতকদের হাতে। তখন তিনি বলেছিলেন তোমরা কি করলে? যে জাতির জন্য যে মানুষটি তার জীবন যৌবন এর সোনালী দিনগুলি জেল খানায় কাটিয়েছেন এদেশের মানুষের জন্য। যে মানুষটি তার সন্তানদের আদর করতে পারেনি, যে মানুষটি এদেশের মানুষকে মুক্ত করলো তাকে তোমরা হত্যা করলে। কি হৃদয় বিদারক আর্তনাদ ছিল ১৯৭৫ এর এই দিনে। তাই আমি বলতে চাই আজ বঙ্গবন্ধু যদি বাংলাদেশের স্থপতি হয় তবে বঙ্গবন্ধুর স্থপতি আমাদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছ্মুজিব। তিনি ছিলেন একজন অনন্য মা । তিনি ছিলেন  নির্লোভ । জীবনে কোনদিন সুখ শান্তি করতে পারে নাই।  তার জীবনের যৌবনের সময় স্বামী জেলখানায় ছিল । সেই মা এদেশের মানুষের জন্য স্বাধীনতার জন্য জাতির জনককে উৎসাহ যুগিয়েছিলেন। বঙ্গমাতা পৃথিবীতে একজন মহিয়সী নারী। জাতির জনক যখন জেলে বসে দিন কাটিয়েছে। তখন তিনি জেল খানায় কাগজ আর কলম দিয়ে বলেছিলেন তুমি এই কাগজে কলমে দেশের মানুষের কথা লিখে যাও। তোমার কথা লিখে যাও তোমার ভাবনার কথা লিখে যাও, তোমার মানুষের কথা লেখ তোমার ভালবাসার কথা লেখ, তোমার দেশের কথা লেখ, তোমার দরিদ্্র বঞ্চিত লোকের কথা লেখ। তাই তিনি কারাগারে রোজনামচা এবং অসমাপ্ত আত্নজীবনি দুটি গ্রন্থ  লিখে গিয়েছিলেন। মেয়র লিটন আরো বলেন, জাতির জনক ও তার পরিবারকে  যে নিষ্টুর নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল তা পুথিবীর অন্য কোন রাষ্ট্রে ঘটেনি। দেশের জন্য জাতির জন্য এত রক্ত পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোন রাষ্ট্র নায়ক দেয়নি। আজ জাতির জনকের কন্যা সারা পৃথিবীতে পঙ্গু প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করছেন। যে পঙ্গু প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম নিলে সমাজে তাকে আলাদা ভাবে দেখা হতো। সেই শিশুদের নিয়ে তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মনে করেন এদেরও আছে বাচার অধিকার এদেরও আছে শিক্ষার অধিকার। আজ জাতির জনকের কন্যা পঙ্গু প্রতিবন্ধীদের সারাদেশে ভাতা প্রদান করছেন। এসময় তিনি আরো বলেন পাকিস্তানী হানাদারদের ভাব ধারায় এদেশর দোসররা ২১ আগষ্ট জাতির জনকের কন্যাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। সেদিন হত্যা  করা হয়েছিল আইভি রহমানকে। যে নেত্রী ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করে আসছেন। এরা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে ষড়যন্ত্র করে ধ্বংস করতে চায়। এসব ষড়যন্ত্রকারী এখনও আমাদের মাঝে আছে। আমরা সকলে সজাগ থাকব জননেত্রী শেখ হাসিনাকে যেন কোন ষড়যন্ত্র হত্যা করতে না পারে। তিনি এদেশের মানুষকে তার পিতার দেখা স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে ১৮ ঘন্টা থেকে ২০ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছ্।ে আমাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আহসান উল্লাহ , শার্শা উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক,প্রাচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইলিয়াছ  আযম, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মোজাফফার হোসেন, শার্শা উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আমেনা খাতুন, সাধারন সম্পাদক শারমীন আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক বিউটি আক্তার, খালেদা খাতুন, আয়েশা খাতুন, বেনাপোল  পৌর আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি রহমত আলী পৌর  ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সুকুমুর দেবনাথ ।
- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত