Monday, April 29, 2024

মণিরামপুরে মেয়েকে এক রশিতে ঝুুলিয়ে মারার পর মায়ের আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা

- Advertisement -

মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ মণিরামপুরে এক রশিতে মেয়ে কথাকে (৩) ঝুলিয়ে মারার পর আরেক রশিতে মা পিয়া মন্ডল (২২)-এর আত্মহত্যার ঘটনায় স্বামী কলেজ শিক্ষক কণার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতেই পিয়া মন্ডলের স্বামী কণার মন্ডলকে পুলিশ আটক করে।
শনিবার সন্ধ্যায় ভাড়া বাসার রান্না ঘর থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার হয়। পরদিন রোববার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে পিয়া মন্ডলের ভাই চন্দন মন্ডল বাদি হয়ে দাদাবাবু (ভগ্নিপতি) কণার মন্ডলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং-১০। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপজেলার নেহালপুর ফাঁড়ি ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান জানান, উপজেলার সুজাতপুর গ্রামের ননি মন্ডলের ছেলে প্রভাষক কিনার মন্ডল স্ত্রী পিয়া ও মেয়ে কথাকে নিয়ে কুলটিয়া গ্রামের ফাল্গুন মন্ডলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। কণার মন্ডল মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে স্বামীর উপর অভিমান করে হতাশায় এই আত্মহননের পথ বেছে নেয় পিয়া মন্ডল। পিয়া মন্ডলের বাবা বাড়ির স্বজনদের অভিযোগ কণার মন্ডলের একাধিক পরকীয়া প্রেম ছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়া হতো। এমনকি পরকীয়ার প্রতিবাদ করলেই পিয়ার মন্ডলের ওপর নেমে আসতো শারীরিক নির্যাতন। মাস খানেক আগে পিয়া মন্ডল শিশু সন্তান কথাকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলেও যান। কয়েদিন পরে কণার মন্ডল পিয়াকে ফিরিয়েও আনেন।
পিয়া মন্ডলের ভাই চন্দন মন্ডলের অভিযোগ, তার বোনকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেও ফের পরকীয়ায় মত্ত হয়ে উঠেন কণার মন্ডল। যা সইতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেয় বোন পিয়া মন্ডল। খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে, পিয়া মন্ডলের বাবা বাড়ির পারিবারিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। একমাত্র ভাই কেবল এইসএসসি পাশ করেছেন। বাবা কৃষি কাজ করেন। কোন রকমে চলে তাদের সংসার। অনেকের ধারনা, সব যন্ত্রনা থেকে রেহায় পেতে পিয়া মন্ডল আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেও তিন বছরের মেয়ে কথাকেও বাচিঁয়ে রাখতে চাননি। এতে করে অনাদর-অবহেলায় বড় হতো বলে শিশু কন্যা কথাকে নিয়ে এক সাথে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ফলশ্রুতিতে তিন বছরের মেয়ে কথাকে এক রশিতে ঝুলিয়ে মারার পর আরেক রশিতে পিয়া মন্ডল আত্মহত্যা করেন। শনিবার রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পরদিন রোববার ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত