Friday, May 3, 2024

মোরেলগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এর মাধ্যমে খাবার পানি সরবরাাহ

এইচ এম শহিদুল ইসলাম,মোরেলগঞ্জ ( বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে খাবার পানির তীব্র সংকট মোকাবেলায় বাগেরহাট-৪-আসনের এমপি, উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও  উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে পানি বিশুদ্ধকরণ করে জনগণের মাঝে খাবার পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। এ প্লান্টের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন স্পটে খাবার পানি বিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা হবে। এ প্লান্টের মাধ্যমে ঘন্টায় ৬০০ লিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব বলে জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান।
একই সময়  উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ন্যানো টেকনোলজি ফিল্টারও  চালু করা হয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, এই ন্যানো টেকনোলজি ফিল্টার ঘণ্টায় ৩০০লিটার পানি সরবরাহ করতে সক্ষম । তবে এখানে পানির উৎসই হচ্ছে প্রধান সমস্যা । পানির উৎস হিসেবে যে পুকুর আছে তার পানিও ইতিমধ্যে  শুকিয়ে গেছে । তারপরও যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ সরবরাহ করা সম্ভব  হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শনিবার বেলা পাচটায় এর উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহ ই আলম বাচ্চু । এসময় উপস্থিত  ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন , পৌর মেয়র এস,এম,মনিরুল হক তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, জেলা পরিষদ সদস্য আফরোজা আক্তার লিনা, জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
এ ওয়াটার প্লান্ট এর মাধ্যমে উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন স্পটে ধারাবাহিকভাবে পানি সরবরাহের কাজ চলবে বলে তারা জানান।
খাবার পানির তীব্র সংকটে ইতিমধ্যেই এলাকায় ডায়রিয়া সহ বিভিন্ন পানিবাহিত  রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় খাবার পানির সংকটে এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে কিছুটা হলেও সংকট সমাধান করা গেছে বলে উপজেলা প্রশাসনের দাবি।  বাগেরহাট-৪-আসনের এমপি এডভোকেট আমিরুল আলম মিলন সাহেবের সুপারিশক্রমে আরো ব্যবস্থা করবেন বলে  জানিয়েছেন । ভবিষ্যতে এর স্থায়ী সমাধান কল্পে কাজ করবেন বলেও তারা জানান। জনসাধারণের ধারণা এত তীব্র সংকট মাত্র একটি প্লান্টের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব নয় । আরও প্লান্টের প্রয়োজন।
উল্লেখ্য শুষ্ক মৌসুমে উপজেলার সমস্ত পুকুর গুলো শুকিয়ে যায়। এবার দীর্ঘ সময় অনাবৃষ্টির কারণে পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। এদিকে উপকূল এবং সুন্দরবন বেষ্টিত এই এলাকাটি নলকূপ প্রায় অকার্যকর অধিক মাত্রায় আর্সেনিক এবং আয়রনের ফলে। পিএসএফ গুলোও প্রয়োজনীয় সংস্কারের ফলে নষ্ট হয়ে আছে। ফলে এখানে খোলা পুকুরের পানি খাওয়া হয়। যার কারণে ইতোমধ্যে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানা যায় গত ১০ দিনে ৭০ জনেরও বেশী ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মোরেলগঞ্জের প্রধান সমস্যা খাবার পানির স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে এ পানি সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবেন বলে তাদের প্রত্যাশা।
- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত