ছোট ভাইয়ের সরলতার সুযোগে ব্যবসার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে। শুধু বড় ভাই নয়, বড় ভাইয়ের শ্যালকও হয়েছেন অর্থবৃত্তের মালিক। যশোর সদর উপজেলার হুগলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত মুজিবার সরদারের ছোট ছেলে বাবুল আহম্মেদ এসব অভিযোগ এনে রোববার নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্তে নেমেছেন থানার এসআই রওশন ফেরদৌস।
অভিযোগে বাবুল আহম্মেদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানার পশ্চিম মাসদাইর পুলিশ লাইন্স সংলগ্ন মরিয়ম টাওয়ার নিজামুল হকের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করেন এবং তিনি একই এলাকায় তার মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজ নামে একটি থান কাপড়ের দোকান রয়েছে। যা গত ১০ বছর ধরে দেখাশোনা করতেন তার আপন বড় ভাই আব্দুল আজিজ। কিন্তু তার কাছে ব্যবসার হিসেব চাইলে আজিজ নানা ধরণের টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায় আত্মগোপনে চলে যায় আজিজ। খোজ নিয়ে কোথাও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে হিসেব নিকেশ করে দেখা যায় আজিজ তার ব্যবসার ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। শুধুই তাই নয় বাদীর গোডাউনে থাকা সাত লাখ টাকার মালামালও আত্মসাত করেন। আর এ কাজে সহযোগিতা করেন আজিজের স্ত্রী আঞ্জুরা বেগম এবং তার শ্যালক যশোর চৌগাছা উপলোর রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নগরবন্নী গ্রামের বাবর আলী মন্ডলের ছেলে হাতেম আলী, একই গ্রামের হোসেন আলার ছেলে মাজেদুল ইসলাম। পরে বাবুল খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তার বড় ভাই শ্বশুর বাড়িতে আত্মসাতের টাকা নিয়ে নামে বেনামে অঢেল সম্পত্তি কিনেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বড় ভাই আজিজ জানান, তিনি তার ছোট ভায়ের দোকানে চাকরি করতেন। কিন্তু কোনো টাকা আত্মসাত করেননি। তিনি অসুস্থ হওয়ায় বাড়ি চলে এসেছেন। এছাড়া তার স্ত্রী ও শ্যালকরা এসব বিষয়ে জড়িত নয় বলে দাবি করেন তিনি।
রাতদিন সংবাদ