Monday, April 29, 2024

কেশবপুরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে যে কারণে গলা কেটে হত্যা করেছে সাইফুল

- Advertisement -

কেশবপুরে টেলিভিশন দেখাকে কেন্দ্র করে গালি দেওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন স্বামী সাইফুল ইসলাম। যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এ কথা বলেছেন তিনি। আটক সাইফুল ইসলাম মনা সরদার কেশবপুর উপজেলার পাঁচ বাকাবর্শি গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে। বিচারক মামুনুর রহমান জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।জবানবন্দিতে সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন দু’ বছর আগে একই উপজেলার চিংড়া বাজার এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে বৃষ্টি খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। বাড়িতে কেউ না থাকায় মেজ ভাইয়ের ঘরে বসে রাত ১১টার দিকে সাইফুল ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন টেলিভিশন দেখছিলেন। ওই সময় সাইফুল তামিল ছবি দেখতে চান। তখন তার স্ত্রী অন্য চ্যানেল দেখবেন বলে জানান। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় বৃষ্টি তার স্বামী সাইফুলকে গালি দেন। এরপর টেলিভিশনের রিমোট বৃষ্টির কাছে দিয়ে সাইফুল ঘরের বাইরে চলে যান। বারান্দায় ঘণ্টা খানিক বসে থেকে একটি দা নিয়ে ঘরে গিয়ে দেখেন স্ত্রী বৃষ্টি টেলিভিশন চালিয়ে রেখে ঘুমিয়ে গেছেন। তখন তিনি দা নিয়ে বৃষ্টির বুকের ওপর বসে বাম হাতে মুখ চেপে ধরে ডান হাতে থাকা দা দিয়ে গলায় কেটে হত্যা করেন। এরপর বাড়ির পাশে আজিজুর রহমানের পুকুরে দা ফেলে দিয়ে চিৎকার করে কান্নাকাটি করেন। তখন আশপাশের লোকজন এলে সাইফুল বলেন বৃষ্টির সাথে অন্য পুরুষের সম্পর্ক ছিল। তারা ছয়-সাতজন এসে তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় বৃষ্টির পিতা বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত