Saturday, April 27, 2024

নড়াইলের তুলারামপুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

- Advertisement -

সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল:

নড়াইলে তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি এবং তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে তুলরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক সদস্য ও এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের দু’জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারি নিয়োগে এ অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে নড়াইল প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন করেছেন। এ সময় বক্তব্য দেন অভিভাবক সদস্য খান আতাউর রহমান সুজন এবং অভিভাবক সদস্য মোঃ আলাউদ্দীন বিশ্বাস।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল নড়াইল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের কয়েক সদস্যকে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া এবং নিয়োগ অনুমোদন মিটিং এর কথা গোপন রেখে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করে নেয়। অভিযোগ, মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
তুলরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য খান আতাউর রহমান সুজন বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার দিনক্ষণ প্রধান শিক্ষক বা সভাপতি কিছুই জানাননি। গত ২৮ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে ইফতার মাহফিলের কথা বলে স্কুলে নিয়ে গিয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দুজনেই একটি সাদা কাগজে সই করতে বলে । আমি এর প্রতিবাদ করে চলে আসতে গেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহাগ, মোনায়েমসহ ২০-৩০জন আমার কাছ থেকে সই নেবার চেষ্টা করে এবং গায়ের জামা-কাপড় টানাটানি করে। তারপরও আমি স্বাক্ষর করিনি। শুনেছি অফিস সহায়ক পদে ১২ লাখ এবং কম্পিউটার অপারেটর পদে ১৬ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে।
অপর অভিভাবক সদস্য মোঃ আলাউদ্দীন বিশ্বাস বলেন, আমাদের কাছে নিয়োগের বিষয় নিয়ে লুকোচুরি করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষা হয়েছে তা আমি জানিনা। গত ২৮ এপ্রিল ইফতার পার্টির নাম করে আমাদের স্কুলে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমিসহ কয়েক অভিভাবক সদস্যকে সভাপতিসহ কয়েক বহিরাগত সন্ত্রাসী জোরপূর্বক সই করে নেয়। যদি টাকার বিনিময়ে নিয়োগ না-ই হবে তাহলে জোর করে সই করানো হলো কন ?
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিত মন্ডল বলেন, সমস্ত নিয়ম মেনে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এখানে এক টাকাও ঘুষ নেওয়া হয়নি। ২৮ এপ্রিল নিয়োগ অনুমোদন কমিটির সভায় ১১জন সদস্যের মধ্যে ১০জন নিজ ইচ্ছায় স্বাক্ষর করেছেন। একজন করেননি।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইমদাদুল হক সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারও কাছ থেকে এক টাকা নেওয়া হয়নি। কেউ কোনো প্রমান দিতে পারবে না। স্কুলের সুনাম নষ্ট করার জন্য এসব অপ্রচার চালানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অফিস সহায়ক প্রার্থী মোঃ খালিদের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ছায়েদুর রহমান তৃতীয় শ্রেণির দু’কর্মচারিকে নিয়োগ দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, নিয়োগে অনিয়মের একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমি নিজে মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টির তদন্ত করবো। পরে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত