রাজধানীর মহাখালীতে খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকার ইন্টারনেট সংযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আগুনে খাজা টাওয়ারের দুটি ডাটা সেন্টার পুড়ে গেছে, যার ফলে ঢাকার ৪০ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া আরও অনেক সেবাদাতার সেবা বন্ধের মুখে।
খাজা টাওয়ারে ঢাকার ৯০ শতাংশ ইন্টারনেট সংযোগের ডাটা সার্ভার রয়েছে বলে জানা গেছে। আগুনের কারণে এসব সার্ভার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ইন্টারনেট গতি ধীর হয়ে গেছে।
গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের মতো মোবাইল ফোন অপারেটররাও আগুনের কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব অপারেটরের গ্রাহকরা গ্রামীণফোন নম্বর থেকে অন্য অপারেটরের নম্বরে কল করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, “খাজা টাওয়ারে থাকা এনআরবি নামে একটি ডাটা সেন্টার পুড়ে গেছে। কয়েকটি আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) শাটডাউন করেছে। এতে শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে ইন্টারনেটে ধীরগতি হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, “খাজা টাওয়ারে লেভেল থ্রি, ম্যাক্স হাব, আমরা নেটওয়ার্ক, আর্থনেট ও উইনস্ট্রিম আইআইজিও পুড়ে গেছে। ফলে আমরা এরই মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ হারিয়েছি। কবে নাগাদ ইন্টারনেটের এ গতি ফিরবে, সে বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।”
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।”







