যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ লাইফ কিশোর গ্যাং তৈরী করে মাদক, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মারপিট ও খুনজখমসহ নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। তার মতের বাইরে যাওয়ায় পরীক্ষা দিয়ে স্কুল থেকে বের হওয়া মাত্র এক ছাত্রকে বেধড়ক মারপিট করা হয়েছে দাবি করেছেন তারা। এসব অভিযোগ এনে সোমবার প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে থাকা ভুক্তভোগী জামাল হোসেন ফুলন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মাহমুদ হাসান লাইফ রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে থেকে এলাকার অসহায় ও নিরীহ লোকজনদের উপর অত্যাচার চালিয়ে আসছেন। আওয়ামীগের নেতা পরিচয় দিয়ে কয়েকজন বিএনপি নেতা বকুল ড্রাইভারের ছেলে রায়হান, জালালের ছেলে জিহাদ, ধোপা ফরিদের ছেলে রকি, জামায়াত নেতা ইব্রাহিমের দুই ছেলে চশমা সাগর ও উছামা, মুফতি ইউনুসের ছেলে রুম্মানদের সাথে নিয়ে কিশোর গ্যাং তৈরী করে মাদক, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মারপিট ও খুনজখমসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি পরীক্ষা দিয়ে স্কুল থেকে বের হয়ে আসার পরে ছাত্ররা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছেনা। গত ৫ নভেম্বর দুপুর ১টার দিকে তানভীর ইসলাম ইমন নামে এক শিক্ষার্থী পরীক্ষা শেষে স্কুল থেকে বের হওয়া মাত্রই তাকে চেয়ারম্যান লাইফের পোষ্য ওই সন্ত্রাসীরা মারপিট শুরু করে। এই ঘটনায় আহত শিক্ষার্থী ইমনের চাচি রাশিদা বেগম কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন । কিন্তু ঘটনার তিনদিন পার হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে থানায় অভিযোগ দেয়ায় ফুলনের পরিবারের উপর আরো বেশি করে ক্ষীপ্ত হয়েছে চেয়ারম্যানের পোষ্য ক্যাডাররা। এতে জীবনের নিরাপত্তাবোধ করছেন ভুক্তভোগীরা। ফলে ওই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গতকাল সোমবার মানবন্ধনের মাধ্যমে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
এই ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানায় ফুলনের দেয়া অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা খান মাইদুল ইসলাম রাজিব জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে মাহমুদ হাসান লাইফ বলেন ফুলনের ছেলে ইমন এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এ নিয়ে প্রায় সালিশ বিচার করতে হয় তার। এতে করে তারা লাইফের উপর ষড়যন্ত্র শুরু করে। এর মাঝে একটি মেয়েকে ইমন ও সিয়াম লাঞ্ছিত করে। পরে ওই মেয়ের ভাই প্রতিবাদ করলে তার উপর হামলা চালায় ইমন ও সিয়াম সহ আরো কয়েকজন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলযোগ বাঁধে। এখানে লাইফের কোন বিষয় নেই। পূর্ব শত্রুতা ও স্থানীয় প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি।
বিশেষ প্রতিনিধি
- Advertisement -