খুলনা প্রতিনিধিঃ বিএনপির খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ শনিবার দুপুরে মহানগরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে। তবে শুক্রবার রাতেই বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা এসে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তাদের রাত কাটছে গল্প-আড্ডা, গান আর স্লোগানে। অনেকেই সময় কাটাতে লুডুসহ বিভিন্ন খেলায় মেতেছেন। অনেকে ফেসবুকে লাইভ দিচ্ছেন, সেলফি তুলছেন। সহকর্মীদের পরিস্থিতি জানাচ্ছেন।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে গঠিত মিডিয়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক এহতেশামুল হক শাওন বলেন, শত বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে এসে নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। বহু বাধা কাটিয়ে এখানে আসতে পেরে তারা আনন্দিত। অনেক কষ্ট করে তারা এসেছেন।
শনিবার সমাবেশ, সেই সমাবেশ সফলে আগেভাগেই সমাবেশস্থল পূর্ণ করেছেন। রাতে শুয়ে-বসে, আড্ডা-গল্পে, বক্তব্য শুনে তাদের সময় কাটছে।
রাত ৮টার দিকে নগরের কেডি ঘোষ রোডে বিএনপির দলীয় কার্যালয় এলাকায় অবস্থান নিতে থাকেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। তাদের মধ্যে অনেকেই রাতে থাকার জন্য বালিশ-কাঁথা, চাদর সঙ্গে নিয়ে আসেন। রাত ১০টায় দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে শত শত নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে যান।
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশস্থলে পরিদর্শন করে হোটেলে যান। এরপর সেখানে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সমাবেশ ঘিরে যেমন রয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা, তেমনই রয়েছে ভোগান্তি। বন্ধ রয়েছে বাস, লঞ্চ ও খেয়াঘাট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দূর-দূরান্ত থেকে সমাবেশে আসতে ভরসা করতে হচ্ছে ট্রেন, ট্রলার, ইজিবাইক, সিএনজি ও ভ্যানের ওপর। অনেকে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসছেন।
বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, সমাবেশে যাতে নেতাকর্মীরা অংশ নিতে না পারেন তাই বন্ধ বাস, লঞ্চ ও খেয়াঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়েছে।
আর কে-০১







