জহির রায়হান / রাতদিন সংবাদ
তীব্র তাপদাহে নাকাল যশোরবাসী। রোববার যশোরে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রেকর্ড অনুযায়ী তাপমাত্রা হলো ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ২টায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যশোর বিমানবন্দরস্থ আবহাওয়া দফতর এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিকে তাপদাহের কারণে নেমেছে পানির স্তর। যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি বলে জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ।
যশোর বিমান বন্দরস্থ আবহাওয়া দফতরের তথ্য মতে, গত কয়েকদিন ধরে যশোরের তাপপ্রবাহ চলছে। সপ্তাহ জুড়ে তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে বিরাজ করছে। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুর ২টায় তা ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে দাঁড়ায়। এ তাপপ্রবাহ আরো এ সপ্তাহ জুড়ে বিরাজ করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দফতরের কর্মকর্তারা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর যশোর সদরের কর্মকর্তা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নূর ইসলাম বলেন, তীব্র তাপদাহের কারণে যশোরে পানির স্তর নেমে ৩৮ ফুটে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। এছাড়া গভীর নলকূপগুলোতে পানি উঠছে আগের তুলনায় কম।
তিনি বলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি সংকট দেখা দেয়ায় ৫টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে বারান্দীপাড়া শতদল স্কুল এলাকায় একটি, বারান্দীপাড়া মাঠপাড়ায় একটি, ঘোপ বাবলাতলা এলাকায় একটি, যশোর রেলস্টেশন এলাকায় একটি ও পালবাড়ি এলাকায় একটি। রোববার এ নলকূপগুলো স্থাপন করা হচ্ছে।
নূর ইসলাম আরো বলেন, স্বাভাবিক সময় ভূপৃষ্ট থেকে ২০ ফুটের গভীরতায় পানির স্তর থাকে। অন্যবছর খরা মৌসুমে স্তরটি নেমে ২৮ ফুট থেকে ৩০ ফুটে গিয়ে দাাঁড়ায়। কিন্তু এ বছর পানির স্তরর অনেক বেশি নেমে গেছে। সহসা বৃষ্টি হলে পানির স্তর উঠে আসবে এবং সমস্যরা সমাধান হবে।