যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় /৮জন পাবলিক বিভিন্ন এলাকা থেকে এ টাকা আদায় করছেন। বিশেষ করে বাগআঁচড়াসহ সাতমাইল গরুর হাটে এসব চাঁদাবাজদের উপস্থিতি বেশি নজরে পরছে।কেউ কেউ তাদেরকে ফাঁড়ি ইনচার্জের নিয়োগ দেওয়া চাঁদাবাজ বলেও আখ্যা দিচ্ছেন। তবে পুলিশের দাবি তারা বিষয়টি জানেন না।
স্হানীয় এলাকাবাসি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ভারত থেকে আসা গরু প্রতি আগে ২ থেকে ৩ শ টাকা পর্যন্ত নেয়া হতো । আর এখন চাঁদাবাজরা এক হাজার থেকে এক হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। আর এ টাকা না দিলে গরু আটকে দিচ্ছে। তারা আরো বলেন, কয়েক মাস আগে চৌগাছা থানা থেকে বদলি হয়ে আসেন পুলিশ ইন্সপেক্টর উত্তম কুমার বিশ্বাস। এরপর করোনার থাবায় সব কিছু অচল হয়ে পড়লেও এলাকায় মিল্টন মোস্তসহ ৭ থেকে ৮জন পাবলিক চাঁদাবাজ নিয়োগ দেন তিনি। নিয়োগের পর তারা বাগআচড়া এলাকায় ইন্সপেক্টরের নাম করে চাঁদাবাজি করছে। মফিজুর রহমান এক গরু ব্যবসায়ী জানান, পুলিশের নিয়োগ করা চাঁদাবাজদের কারণে গরু ব্যবসা বন্ধ হতে চলেছে। আগে ২শ থেকে ৩শ করে টাকা দিলে হতো। এখন সেখানে অনেক গুন বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকছে না। নতুবা অন্য রুট দিয়ে গরু আনতে হবে। হাফিজ নামে আরো এক ব্যক্তি জানান, ভারতীয় মালামাল আনতে হলে মাসে ১ হাজার টাকা দিলেই হতো। এখন পুলিশের নিয়োগ দেয়া চাঁদাবাজদের ৫ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইন্সপেক্টর উত্তম কুমার বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি চাঁদাবাজ নিয়োগের কথা অস্বীকার করেন। বলেন, কেউ যদি পুলিশের নাম করে টাকা নেয়। তাহলে তাকে ধরে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে সোপর্দ করার আহবান জানান তিনি।
বিশেষ প্রতিনিধি







