শুক্রবার যশোর জেলা ফুটবল রেফারি সমিতির নির্বাচন। আমেনা খাতুন গ্যালারির দ্বিতীয়তলায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
যশোর জেলা ফুটবল রেফারি সমিতি কত সালে প্রতিষ্ঠিত সে বিষয়টি কেউ সুস্পষ্ট করে বলতে পারেননি। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন এ বি এম সাহিদুল ইসলাম বাচ্চু। প্রতিষ্ঠার বিষয়টি তিনিও জানেন না।
তবে কেউ কেউ মনে করেন দেশ স্বাধীনের পর যশোরে ফুটবল রেফারি সমিতি গঠন করা হয়। সমিতি গঠন করা হলেও বেশিরভাগ সময় কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে বাসা-বাড়ি থেকেই। নেই নিজস্ব কোনো অফিস কক্ষ। জরুরি সবকিছুই নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গের তত্ত্বাবধানে চলে। নানা সময়ে উঠেছে নানা অভিযোগ। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী অনেক সদস্যই এবার বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছেন।
তাদের অভিযোগ, সবকিছুই কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে।
পক্ষান্তরে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করা সাধারণ সম্পাদক এ বি এম সাহিদুল ইসলাম বাচ্চু ও কোষাধ্যক্ষ খুরশিদ মোঃ জাকির হোসেনের বক্তব্য ভিন্ন। তাদের দাবি, অন্যান্য সদস্যের অসহযোগিতার কারণে তারা সাংগঠনিক কার্যক্রম ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারেননি।
এবারের নির্বাচনে শহিদ-নিবাস-ইব্রাহিম-নিশাদের নেতৃত্বে সততা, ঐক্য ও অগ্রগতি পরিষদ এবং মিন্টু-বাচ্চু-জাকির প্যানেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ইতিমধ্যে দু’টি প্যানেল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে।
সততা, ঐক্য ও অগ্রগতি পরিষদ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে স্থায়ী অফিস ঘর, জবাবদিহিতামূলক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা, তৃণমূল পর্যায় থেকে রেফারিদের দক্ষতা বৃদ্ধি, নতুন রেফারি তৈরি ও দক্ষ রেফারিদের সমবণ্টনের মাধ্যমে খেলা পরিচালনা, সমিতির ফান্ড সমৃদ্ধ, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, অসহায় রেফারিদের সহায়তা করা, সমিতির ফান্ড বৃদ্ধির জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করাসহ বেশকিছু পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
মিন্টু-বাচ্চু-জাকির প্যানেল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে রেফারিদের মান উন্নয়নে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা, অসুস্থ রেফারিদের অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য কল্যাণ তহবিল গঠন করা, পরনির্ভরশীল না হয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সকল অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা, রেফারিদের জন্য নিজস্ব কার্যালয় প্রাপ্তির লক্ষ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা ও সমিতির সকল সদস্যের পরিচয়পত্র প্রদান করা।
রাতদিন সংবাদ







