যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সমিতির ১ নম্বর ভবন মিলনায়তনে স্থাপিত ১০টি বুথে ভোটগ্রহণ চলবে। নির্বাচনকে ঘিরে আইনজীবী মহলে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে বিএনপি ও জামায়াত
সমর্থিত দুই শক্তিশালী প্যানেল। সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এবারের নির্বাচনে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত দুটি প্রভাবশালী প্যানেল। মাঠে নানামুখী প্রচারণা, প্রচার–পরিচিতি আর সমর্থকদের সক্রিয় তৎপরতায় পুরো আইনজীবী চত্বর এখন সরগরম। রাজনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষও ভোটের মাঠে উপস্থিত হয়েছেন। আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ১৩ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সাবু–গফুর ঐক্য প্যানেলের ১৩ প্রার্থী, লতিফ–ছোট ঐক্য পরিষদের ৭ প্রার্থী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কাজী রেফাত রেজওয়ান সেতু। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ব্যানারে সাবু–গফুর ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন— সভাপতি পদে সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সহসভাপতি পদে গোলাম মোস্তফা ও বাসুদেব বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক পদে এম. এ. গফুর, যুগ্ম সম্পাদক পদে নূর আলম পান্নু, সহকারী সম্পাদক পদে সেলিম রেজা ও
আশরাফুল আলম, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে কামরুল হাসান সোহেল এবং কার্যকরী সংসদ সদস্য পদে মঞ্জুরুল মাহমুদ লিটু, মৌলুদা পারভীন, রেহেনা খাতুন, শাহাজাহান কবির বিপ্লব ও মেহেদী ইমাম বাপ্পী। তাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির বাসুদেব বিশ্বাস ও আশরাফুল আলমও রয়েছেন। এছাড়া, লইয়ার্স কাউন্সিলের লতিফ–ছোট ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা হলেন— সভাপতি পদে এম. এ. লতিফ, সহসভাপতি পদে আলশগীর সিদ্দিক (১), সাধারণ সম্পাদক পদে আবু মোর্ত্তজা ছোট, যুগ্ম সম্পাদক পদে আবুল করিম মণ্ডল, গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে এস. এম. শাহরিয়ার হক এবং কার্যকরী সংসদ সদস্য পদে শরিফুল ইসলাম ও আজহারুল ইসলাম। অনেকের মতে, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ভোটাররা এবার নির্বাচনের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হতে পারেন।
রাতদিন সংবাদ







