আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবিরা সুলতানা মুন্নীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং জনসম্মুখে বিরুদ্ধাচরণের অভিযোগে এবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা ও পৌর যুবদলের শীর্ষ দুই নেতাকে ঢাকায় তলব করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল। এর আগে উপজেলা ছাত্রদলের দুইশীর্ষ নেতাকে একই কারণে তলব করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। ইতিমধ্যে তারা ঢাকায় যেয়ে জবাব দিয়ে এসেছেন। এবার দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে জয়ী করতে যুবদলের দুই নেতাকে তলব করা হয়েছে। তারা হলেন ঝিকরগাছা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোনাজ্জেল হোসেন লিটন এবং ঝিকরগাছা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন কমল।
শনিবার (২২ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ–দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক পদে দায়িত্ব পালন করেও ঝিকরগাছা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোনাজ্জেল হোসেন লিটন এবং ঝিকরগাছা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন কমল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরুদ্ধাচারণ করেছেন—যা শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং সংগঠনের নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত।
এমতাবস্থায় কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ৩ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন–এর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যশোর–২ (ঝিকরগাছা–চৌগাছা) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলে কিছু মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচার–প্রচারণা জোরদার করা হলেও দলীয় মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মাঠে সক্রিয় কিছু নেতাকর্মী বিভিন্ন সভা–সমাবেশে ভিন্ন অবস্থান নিয়েছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গেই সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ও পৌর যুবদল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে।
কেন্দ্রীয় যুবদল সূত্র জানায়, “দলের সিদ্ধান্ত ছাড়া মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া কঠোর সাংগঠনিক অপরাধ। সেই কারণে তাদের দ্রুত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।”







