মোঃ নাজমুল হুদা, বান্দরবান থেকেঃ লামা উপজেলার কম্পোনিয়া এলাকায় জমি বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা; অভিযুক্ত অন্য এলাকার নুরু মিয়া ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিন তদন্তে জানা যায়, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন খাঁন ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে জমি ক্রয়ের লক্ষ্যে অনুসন্ধানকালে মোঃ আশরাফ আলীর (পিতা—স্ব. তাহের আলী) নামীয় ডলুছড়ি মৌজার হোল্ডিং নং আর/৮৮৭-এর ৪.০০ একর ২য় ও ৩য় শ্রেণির জমি বিক্রয়ের প্রস্তাব পান। ক্রেতাদের সঙ্গে দরদাম শেষে মোট ৩০ হাজার টাকায় (প্রাথমিক ভাবে ২০ হাজার টাকা নগদ হিসাবে গ্রহণ করা হয় এবং বাকি ১০ হাজার টাকা রেজিস্ট্রির সময় গ্রহণের শর্ত রাখা হয়) বায়নামা আদায় করা হয়। দলিল অনুযায়ী জমির ভোগদখল দলিল গ্রহণকারীর বরাবর অংক অনুপাতে হস্তান্তর করার কথা বলা হয়েছে; একই সঙ্গে বলা হয়েছিল জমিটি পূর্বে কোনো ব্যাংক/প্রতিষ্ঠানের দায়ে বাধ্য না।
অপরদিকে, ৩০.১২.২০০৯ তারিখে মোয়াজ্জেম হোসেন (পিতা—মুসলিম আলী, মাতা—আম্বিয়া খাতুন) নামের নথিতে ক্রেতা হিসেবে ব্যক্তি হন এবং বিক্রেতা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে মোঃ হাবিবুর রহমান (পিতা—স্ব. রবি উল্ল্যা, মাতা—স্ব. রমিজা খাতুন)। বিবরণে বলা হয়েছে, বিক্রেতার ব্যক্তিগত কর্জ পরিশোধ ও বিশেষ প্রয়োজনের কাজেই বিক্রয়কৃত জমির মূল্য নগদভাবে গ্রহণ করে বিক্রেতা নিজ জমির অংশ হইতে বিক্রয়ের পর নির্দিষ্ট দলিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।
তবে জমির অদলবদল ও দলিলসংক্রান্ত আরও বিস্তারিত অংশে বলা আছে—আবদুল আজিজ (পিতা—স্ব. জিন্নত আলী) নামের আসল দলিল হতে কিছু অংশ আলাদা করে বিক্রয় করা হয়েছে এবং ২৫.০২.২০০৫ তারিখে দেশীয় কাঁচা দলিল মূলে বিক্রয় সম্পন্ন হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্রেতারা জানিয়েছে, তারা ওই জমি সম্পর্কে ভবিষ্যতে কোনো দাবী তুলবেন না এবং সরকারি বিধি মোতাবেক ক্রেতার নামে বন্দোবস্ত করা যাবে বলে তারা স্বীকার করেছেন। যদি কোনোভাবে প্রতারণা প্রমাণিত হয় তারা আদালতের নির্দেশ মেনে শাস্তির মুখোমুখি হবেন—এমন বিধানও দলিলে আছে।
আবার দাবিদার (দলিলগ্রহীতা) বলেন, উক্ত জায়গার মূল কাগজপত্র তাদেরই রয়েছে এবং তারা সাক্ষীসহ তা উপস্থাপন করতে পারবেন। তাদের দাবি, জমিগুলো পূর্বে নুরু মিয়া গং-এর কাছ থেকে কাগজপত্রে ক্রয় করা হয়েছে এবং টাকাও পরিশোধ করা হয়েছিল; এতদিন পরে কেন নতুনভাবে দাবী করা হচ্ছে তা তাদের বোধগম্য না। তারা আরও জানান, বর্তমানে যে জায়গায় তারা অবস্থান করছে তা ডলুছড়ি মৌজার অংশ, যেখানে অভিযোগকৃত পক্ষ চাম্বি মৌজার জমি দাবি করেছে—এই পার্থক্যের কথা উল্লেখ করে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, উক্ত জমি সম্পর্কিত সাম্প্রতিক দলিল (০১.০৯.২০২৫ ইং) মোয়াজ্জেম হোসেনের নিকট থেকে আমোক্তার নামা দলিল নং ৬৫৩/২০২৫ ইং হিসাবে উল্লিখিত রয়েছে এবং ম্যানেজার হিসেবে কাজল চন্দ্র মহন্তের নাম ফলমান করা হয়েছে।
আর কে-০১







