যশোরে সিটি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের ওপর প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় এবার ১৬ মামলার আসামি আলামিন ওরফে চোর আলামিনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার দিনভর শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আলামিন টিবি ক্লিনিক এলাকার মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে এবং সোহানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

ডিবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেন জানান, আলামিনের নামে এর আগে ১৬টি মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি চিহ্নিত চোর। বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকায় একাধিকবার আটক ও জেল খেটেছেন। শহরের একটি স্থান থেকে আটকের পর শুক্রবার রাতে তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল বলেন, রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে। আলামিনকে আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে। এ মামলায় এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশ মাঠে রয়েছে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থী আদর মোটরসাইকেল যোগে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আশ্রম রোডের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় আশ্রম রোডের রাতিন ও তার ভাই রোহানসহ আরও কয়েকজন আদরের মোটরসাইকেল থামিয়ে মারধর শুরু করে। সে সংবাদ পেয়ে সোহানুর রহমান সোহান সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে যান। আদরকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে আসামিরা সোহানের ওপর হামলা চালায়।
এ সময় আলোচিত যুবলীগ নেতা তুহিন সোহানের মাথায় অস্ত্র ঠেকায়। অন্য আসামিরা সোহানকে জাপটে ধরে, এরপর রাতিন ও রোহান একের পর এক ছুরিকাঘাত করে। এ সময় সোহানের মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা ৪১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় আসামিরা। পরে আশপাশের লোকজন সোহানকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মিজান চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেন। এ মামলায় শুক্রবার ওই এলাকার মইন, তার স্ত্রী এবং পুলেরহাটের পিয়াসকে আটক করা হয়। সর্বশেষ আটক করা হয় আলামিনকে। তবে এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন রাতিন, রোহান, তুহিন, সুহিনসহ অন্যরা।
রাতদিন সংবাদ







