Friday, December 5, 2025

আজ ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস

আজ ৭ নভেম্বর, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল ও ঐতিহাসিক দিন—জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই দিনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ও সাধারণ মানুষের যৌথ বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অরাজকতা ও অনিশ্চয়তার অন্ধকার কাটিয়ে বাংলাদেশে সূচিত হয়েছিল এক নতুন যাত্রা।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তায় নেমে আসে হাজারো মানুষ। স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদযাপিত হয় সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যার পরপরই রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
সেদিন জাতি আবারও শুনেছিল তার কণ্ঠ—“আমি জিয়া বলছি।” মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে যে কণ্ঠে জাতি শুনেছিল স্বাধীনতার আহ্বান, আবারও সেই কণ্ঠে তারা পেয়েছিল আশ্বাস ও মুক্তির বার্তা। মুহূর্তেই জেগে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা, বুকের ভার নেমে গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাসে মুখরিত হয়েছিল পুরো দেশ।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় গড়ে ওঠে বিপ্লব ও বিজয়ের মিছিল। সৈনিক ও সাধারণ মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, হাতে হাত রেখে উচ্চারণ করেছিল— “সিপাহী-জনতা ভাই ভাই”, “বাংলাদেশ জিন্দাবাদ”, “মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান জিন্দাবাদ”, “সিপাহী-জনতা এক হও।”
এই দিনটি পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস নামে পরিচিতি পায়।

এই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অরাজকতা ও অনিশ্চয়তার অবস্থা থেকে উত্তরণের নতুন পথে পা রাখে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান দেশকে ভূরাজনৈতিক, সম্প্রসারণবাদী ও নব্য-ঔপনিবেশিক ষড়যন্ত্রের জাল থেকে মুক্ত করেন।

জাতীয় সংকটের ভয়াবহ সেই মুহূর্তে দেশপ্রেমিক বিপ্লবী সৈনিক ও জনতা ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের পরাস্ত করে জেনারেল জিয়াকে নেতৃত্বে আনেন। ৭ নভেম্বরের পর থেকেই আত্মমর্যাদা ও স্বাতন্ত্র্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়ের নতুন বিকাশ শুরু হয়।
নতুন ভোরের সেই ইতিহাসের নায়ক হয়ে ওঠেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান—যিনি আজও সাধারণ মানুষের হৃদয়ে বেঁচে আছেন, নানা চেষ্টায় তার স্মৃতি মুছে ফেলতে না পারলেও জাতির হৃদয় থেকে তাকে সরানো যায়নি।

অনলাইন ডেস্ক

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর