বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে যশোর গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, যশোরে গ্রামীণ ডাক বিভাগে বর্তমানে ৫৫৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। তাদের বেতন কাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের ধাঁচে রয়ে গেছে। পোস্টমাস্টারের বেতন মাত্র ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের ৪ হাজার ৩৫৪ টাকা, রানারের ৪ হাজার ১৭৭ টাকা এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এই বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে এক মাস চলা অসম্ভব। সন্তানের শিক্ষা, চিকিৎসা এবং দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় বৈষম্য দূর করার যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই বৈষম্যমূলক বেতন কাঠামো এখনো গ্রামীণ ডাক বিভাগে বহাল রয়েছে। এমতাবস্থায় তারা বেতন ও ভাতা বৃদ্ধি, ডাকবাহকদের জন্য বাইসাইকেল ও পোশাক সরবরাহ, উৎসব ভাতা প্রদান এবং বর্তমান বাজারদরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার প্রে-স্কেল নির্ধারণের দাবি জানান।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান বলেন, “বর্তমানে আমরা জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি, মানি অর্ডারসহ সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নথি মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিই। কিন্তু আমাদের বেতন কাঠামো এত কম যে বাজার করার টাকাও হয় না। পরিবার-পরিজনের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতেও আমরা হিমশিম খাচ্ছি। দেশে প্রায় ২৬ হাজার কর্মচারী এই দুর্দশায় ভুগছেন। সম্প্রতি উপদেষ্টা ডাক বিভাগের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হলেও আমরা সেই সুবিধা পাইনি। স্ত্রী-সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা সরকারের কাছে আমাদের বেতন কাঠামো পুনঃনির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছি।”
রাতদিন সংবাদ







