কেশবপুর প্রতিনিধি: সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা দাখিল মাদ্রাসায় চারটি পদে গোপনে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সূত্র জানায়, মাদ্রাসাটিতে সুপার, ইবতেদায়ী সুপার, ল্যাব সহকারী ও দপ্তরী পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রাসেলুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কাদের ও অফিস সহকারী হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে বলা হয়, এসব পদে নিয়োগ দেয়ার লক্ষ্যে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ল্যাব সহকারী পদে মমিনপুর গ্রামের জাহিদ হাসানের কাছ থেকে ১৬ লাখ, দপ্তরী পদে ভান্ডারখোলা গ্রামের রকি হাসানের কাছ থেকে ১৭ লাখ এবং ইবতেদায়ী সুপার পদে টিটাবাজিতপুর গ্রামের আতাউর রহমানের কাছ থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সভাপতি রাসেলুজ্জামান বলেন, “আমি সভাপতি হলেও এখানে কোনো নিয়োগ বাণিজ্যের সুযোগ নেই। নিয়োগ হবে সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে।”
ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের জানান, “যারা কমিটিতে আসতে পারেননি তারাই গুজব রটাচ্ছেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে, তবে সাক্ষাৎকারের তারিখও এখনো নির্ধারিত হয়নি।”
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ ফিরোজ আহমেদ বলেন, “ভান্ডারখোলা দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তবে কোনো নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। অনেক সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেই এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে।”







