মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ মণিরামপুর উপজেলার জামলা গ্রামে প্রায় ৪০ বছরের একটি যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে কয়েকটি পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। অভিযুক্তদ্বয় এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, আবুল কালাম আজাদ ও তার স্ত্রী সালমা বেগম পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত জামলা মৌজার ৬৬৬ ও ৬৬৭ দাগে বসবাস করে আসছে। তাদের প্রতিবেশী মৃত নিছার আলি বিশ্বাসের ছেলে কামাল উদ্দিন বিশ্বাস ও তার ছেলে আলামিন বিশ্বাস ওই জমি জোরপূর্বক ক্রয় করতে ব্যর্থ হয়ে প্রায় এক বছর আগে সীমানা প্রাচীর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ফলে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিলেও আলামিন এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কোথাও সমাধান পায়নি ভুক্তভোগী পরিবার। কামাল উদ্দিন বিশ্বাস তার বাড়ির সীমানায় প্রাচীর দিয়ে পূর্ব পাশে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আবুল কালাম আজাদের পরিবার সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই রাস্তা দিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে কয়েকটি পরিবার যাতায়াত করে আসছে। আরেক বাসিন্দা জানায়, রবিউল ইসলাম ও আলামিন এখন টাকার জোরে আশপাশের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি বিক্রি করতে বাধ্য করছে। মিম পারভিন জানায়, ওরা টাকা-পয়সার গরমে মানুষকে মানুষ মনে করে না। এভাবে চলতে থাকলে জমি বিক্রি করে গ্রাম ছেড়ে আমাদের চলে যেতে হবে। রাস্তা বন্ধ হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা মনিয়ার রহমানের ছেলে মশিয়ার রহমান, কামাল উদ্দিন বিশ্বাস এর কাছে বাড়ি সহ জমি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ভুক্তভোগী আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার পৈতৃক জমিতে ৪০ বছর ধরে বসবাস করছি। জমি বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানালে দুই বছর ধরে আমাদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, জামলা ও আগরহাটি মৌজার সংযোগস্থলে কিছু খাস জমি ছিল, যা দিয়ে বহু বছর ধরে সবাই যাতায়াত করত। অভিযোগের বিষয়ে কামাল উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত ক্রয়কৃত জমি। আমার জমির ওপর দিয়ে কারও যাতায়াতের অনুমতি নেই। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করা হলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তা আর সফল হয়নি।
এ প্রসঙ্গে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, বিষয়টি অতিদ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আর কে-০২







