যশোরের মণিরামপুরে স্বামীর অবৈধ সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় এক গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন স্ত্রী শাহানারা খাতুন। শুধু তাই নয়, তার কানের দুল, গলার চেইন এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শাহানারা। এসব বিষয়ে মণিরামপুর থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না তিনি। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মণিরামপুর উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের দোনার গ্রামের মৃত সোহরাব মোড়লের ছেলে স্বামী কসাই আলমগীর হোসেন। ভুক্তভোগী শাহানারা খাতুন (৪৫) একই উপজেলার ইত্যা গ্রামের মৃত বাবর আলী দফাদারের মেয়ে।
শাহানারা খাতুন জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে কসাই আলমগীর হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। শুরুতে সংসার ভালোভাবেই চলছিল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্বামীর আচরণ বদলে যেতে থাকে। যৌতুকের জন্য আলমগীরকে তিন লক্ষ টাকা এনে দিই, এমনকি একটি মোটরসাইকেলও কিনে দিই। কিন্তু এরপর থেকে তার চাহিদা আরও বাড়তে থাকে। যৌতুকের লোভে আলমগীর প্রায়ই মারধর ও অপমান করতে থাকে।
বাধ্য হয়ে তিনি ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে মামলা করেন। এরপর ক্ষমা চাওয়ায় আবার সংসার শুরু করেন, কিন্তু অপরিবর্তিত থাকেন আলমগীর। পরে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন, যা নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এরপর তার কাছে আরও দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আলমগীর। টাকা না দেওয়ায় আলমগীরসহ কয়েকজন তাকে মারধর করে। তার কাছ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও সোনার গহনা ছিনিয়ে নেয়। পরে আলমগীর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর থেকেই মণিরামপুর থানায়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার না পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন তিনি। বুধবার রাতে কুয়াদা বাজারে এসে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শাহানারা খাতুন।
পরে তার স্বামী আলমগীর হোসেনের মোবাইলে কল করলে তিনি রাতদিন নিউজকে জানান, শাহানারা তার কাছে জমি ও নগদ টাকা দাবি করে। না দেওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন তিনি। আলমগীর পাল্টা শাহানারার বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ আনেন।
শামীম হোসেন







