Friday, December 5, 2025

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হলেন কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম। তার এই অর্জন কোয়ান্টাম পরিবারের জন্য এক নতুন মাইলফলক।

শরিফুল ২০০৩ সালে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বাবার হাত ধরে ভর্তি হন কোয়ান্টাম শিশুকাননে। পরে ২০১৩ সালে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল থেকে এসএসসি এবং ২০১৫ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। একই বছর তিনি ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগে। অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস থার্ড এবং মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি।

কোয়ান্টাম কসমো স্কুল থেকেই শুরু হয় শরিফুলের খেলাধুলার যাত্রা। ২০০৯ সালে তার ব্যাচ প্রথমবারের মতো খো খো খেলায় জাতীয় পদক অর্জন করে। সীমিত সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তিনি ও তার সহপাঠীরা দৃঢ় মনোবল নিয়ে এগিয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শরিফুল খেলাধুলার ওপর একাধিক বইও লিখেছেন। এর মধ্যে রয়েছে— ‘খো খো খেলার আদ্যোপান্ত’ (২০২১), ‘ওয়ার্ম আপ স্ট্রেচিং ও কুল ডাউন’ (২০২৩), ‘পিটি ও ড্রিল’ (২০২৪) এবং ‘প্যারেড’ (২০২৫)। এছাড়া সম্পাদনা করেছেন ‘অদম্য’ ও ‘সব সম্ভব’ গ্রন্থ। আন্তর্জাতিক জার্নাল জার্নাল অব বায়োমেড রিসার্চ–এও প্রকাশিত হয়েছে তার গবেষণা নিবন্ধ।

কেবল একাডেমিক ক্ষেত্রেই নয়, সেবামূলক কাজেও সক্রিয় ছিলেন শরিফুল। করোনাকালে তিনি কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা দাফন টিমের হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত ‘সব সম্ভব’ গ্রন্থে তার জীবনসংগ্রামের অনুপ্রেরণাদায়ী গল্পও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

নিজের অর্জন সম্পর্কে শরিফুল ইসলাম বলেন, “কোয়ান্টাম আমাকে শিখিয়েছে সব সম্ভব। এখানেই আমি জীবনযাপনের ব্যাকরণ ও শুদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি খুঁজে পেয়েছি।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি নতুন এক পথচলা শুরু করলেন। শরিফুল আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে নিজের মেধা ও শ্রমকে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে পারবেন।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর