Friday, December 5, 2025

যশোরে মহাধুমধামে মহানবমী উদযাপন

জুমমান হোসেন: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা যশোরে মহাধুমধামে উদযাপিত হচ্ছে। আজ বুধবার (১ অক্টোবর) শুভ মহানবমী উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভক্ত-অনুরাগীদের ঢল নেমেছে।

পঞ্চমীর বোধন ও ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই মহোৎসব মহাসপ্তমী ও মহাষ্টমীর পর আজ নবমীতে পদার্পণ করেছে। শাস্ত্র মতে, মহানবমী থেকেই দেবী দুর্গার কৈলাশে ফিরে যাওয়ার বিদায় ঘণ্টা শুরু হয়। আগামীকাল বিজয়া দশমীর মাধ্যমে শেষ হবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের এ মহোৎসব।

হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে নবমীতে সকালে তর্পণ শেষে দেবী দুর্গার মহাস্নান ও ষোড়শ উপচারে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ দিনে বলিদান ও নবমী হোম পালনের প্রচলন রয়েছে। অষ্টমীর শেষ ২৪ মিনিট ও নবমীর প্রথম ২৪ মিনিট মিলে সম্পন্ন হয় সন্ধিপূজা, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ সময়ে দেবী চামুন্ডার পূজা করা হয় এবং দেবীর চরণে ১০৮টি নীলপদ্ম নিবেদনসহ ১০৮টি প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। দিনভর ভক্তরা অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ গ্রহণে অংশ নেন।

এ বছর যশোর জেলায় মোট ৭০৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে যশোর সদরে ১৬৫টি, অভয়নগরে ১২৭টি, কেশবপুরে ৯৮টি, মণিরামপুরে ৯৬টি, বাঘারপাড়ায় ৯১টি, ঝিকরগাছায় ৫৪টি, চৌগাছায় ৪৮টি এবং শার্শা উপজেলায় ২৯টি পূজামণ্ডপে আয়োজন চলছে।

শারদীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার সর্বত্র পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের মোবাইল টিম ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছেন। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

শাস্ত্র মতে, এ বছর দেবী দুর্গার আগমন হয়েছে গজে (হাতির পিঠে)। আর আগামীকাল বিজয়া দশমীতে দেবী বিদায় নেবেন দোলায় (পালকিতে চড়ে)। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর