যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেছেন, প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থ সংকটে কোনো মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা ক্রয় করতে না পারলে ভাড়া করতে হবে। সেটিও সম্ভব না হলে পূজা পরিষদসহ সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা নিয়ে হলেও মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা নিশ্চিত করতে হবে। সোমবার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান এ কথা বলেন।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের নেতারা অংশ নেন। তারাও আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে সংকট ও চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার মাঠে পর্যাপ্ত পুলিশ রেখে এবং অপরাধের তথ্য পেলেই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে মণ্ডপে ডিজে পার্টি রুখতে নেতাকর্মীদের দায়িত্ব তুলে দেন ও ধর্মীয় সঙ্গীত বাজাতে অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয় থাকবে। শারদীয় দুর্গাপূজায় ধর্মীয় আচারের পাশাপাশি সামাজিক উৎসবের যোগ আছে। কোনো কিছু হলে যেন ধর্মীয় দৃষ্টিকোণকে পুঁজি করে বিষয়টি আরও বড় করে প্রচার করা না হয়, সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পূজা মণ্ডপে ডিজে পার্টি নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন। এটা আমরা বন্ধ করতে চাই না। আপনারা মন্দির কমিটি থেকেই ডিজে পার্টি বন্ধে পদক্ষেপ নেবেন। উঠতি বয়সীরা মনে করে ডিজে পার্টি মানেই উৎসব। কিন্তু এটা তো পূজার উৎসবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ডিজে পার্টি কিভাবে দুর্গোৎসবের অংশ হয় এ প্রশ্ন তো আপনারায় করছেন । তাই ডিজে পার্টির ব্যাপারে আপনারাই নিরুৎসাহিত করবেন বলে মন্তব্য করেন। তিনি এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় সঙ্গীতকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
পূজার সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, যশোর শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নতুন করে সাজানো হয়েছে। একই সঙ্গে বাকি ৮টি থানা এলাকায় সীমিত পরিসরে হলেও ট্রাফিক পুলিশের টিম কাজ করবে। স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা ছাড়া পুরোপুরি যানজট নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে। এজন্য তিনি নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
নির্ধারিত সময়ে প্রতিমা বিসর্জনের বিষয়ে পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেন, সরকার নির্ধারিত রাত ৭টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। রাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত সবার জন্য। কিন্তু বিশেষ কারণে ওই সময়ের মধ্যে বিসর্জন দিতে না পারলে কোনোভাবেই রাত ১০টা পার করা যাবে না। একই সঙ্গে মাদকের জিরো টলারেন্সে যেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমিন, যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন ও সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও যশোর জেলা কমিটির সদস্য সচিব নির্মল কুমার বিট, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক অলোক ঘোষ, বৈষম্যবিরোধী সনাতন সমাজের যশোর জেলার আহ্বায়ক মৃণাল কান্তি দে, সদস্য সচিব অধ্যাপক অখিল চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চৌগাছা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পাল, শার্শার সভাপতি বৈদ্যনাথ দাস, ঝিকরগাছার সভাপতি দুলাল অধিকারী, সদরের সভাপতি রবিন পাল, কেশবপুর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল সাহা, বাঘারপাড়া উপজেলা সভাপতি প্রণয় সরকার প্রমুখ।
এ বিষয়ে যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন গ্রামের কাগজকে বলেন, ইতিমধ্যে যশোর জেলা পুলিশ সুপার ছাড়াও ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা বিএনপির সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে, দ্রুত জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে। এছাড়া মঙ্গলবার বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের মতবিনিময় সভার কথা রয়েছে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস ব্রিফিং করে আরও বিস্তারিত জানানো হবে। তবে, জেলা পুলিশের শর্তগুলো মেনেই পূজা উদযাপনের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নির্মল কুমার বিট বলেন, ফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্দিরমণ্ডপে সুরক্ষা সেল তৈরি করা হবে। ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি তারা কাজ করবে। যেকোনো সমস্যায় তারা একত্র হয়ে কাজ করবেন।
দীপংকর দাস রতন ও নির্মল কুমার বিট দুইজনেই বলেন, সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত পাশে থেকে দিকনির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এ বছর যশোর জেলায় ৭০৫টি মন্দির ও মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৬২টি, অভয়নগরে ১২৭টি, কেশবপুরে ৯৮টি, মণিরামপুরে ৯৬টি, বাঘারপাড়ায় ৯১টি, ঝিকরগাছায় ৫৪টি, চৌগাছায় ৪৮টি ও শার্শায় ২৯টি মন্দির রয়েছে। ২০২৪ সালে জেলায় ৬৫২টি শারদীয় দুর্গাপূজা হয়েছিল। ২০২৩ সালে জেলা মোট মন্দির ও মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৭৩৩টি। সেই হিসেবে গত বছর ৮১টি মন্দিরে দুর্গাপূজা কমলেও এবার বেড়েছে ৫৩টি। এ বছর একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পূজা হওয়ায় আগাম সতর্কতার পাশাপাশি নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে সরকার।
বিশেষ প্রতিনিধি
এসপির সাথে নেতাদের মতবিনিময়
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে জেলা পুলিশ
#যশোর জেলায় ৭০৫টি মন্দিরেই রাখতে হবে সিসি ক্যামেরা
শিমুল ভূইয়া
যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেছেন, প্রতিটি পূজামন্ডপের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থ সংকটে কোন মণ্ডপ কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরা ক্রয় করতে না পারলে ভাড়া করতে হবে। সেটিও সম্ভব না হলে পুজা পরিষদসহ সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা নিয়ে হলেও মন্ডপে সিসি ক্যামেরা নিশ্চিত করতে হবে। সোমবার শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান এ কথা বলেন। সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের নেতারা অংশ নেন। তারাও আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা উদযাপনে সংকট ও চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার বলেন, মাঠে থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ রেখে অপরাধের তথ্য পেলে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। একই সাথে মন্ডবে ডিজে পাটি রুখতে নেতাকর্মীদের উপর দায়িত্ব তুলে দেন ও ধর্মীয় সঙ্গীত বাজাতে অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ সুপার রওনক জাহান বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয় থাকবে। শারদীয় দুর্গাপূজায় ধর্মীয় আচারের পাশাপাশি সামাজিক উৎসবের যোগ আছে। কোনো কিছু হলেই যেন ধর্মীয় দৃষ্টিকোনকে পূজি করে বিষয়টি আরও বড় করে না প্রচার করা হয় সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।তিনি আশ্বাস দেন, পুলিশ যেকোনো অপরাধের তথ্য পেলেই তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নিবে।
তিনি আরও বলেন, পূজা মণ্ডপে ডিজে পার্টি নিয়ে অনেকেই কথা বলেছেন। এটা আমরা বন্ধ করতে চাই না। আপানার মন্দির কমিটি থেকেই ডিজে পার্টি বন্ধে পদক্ষেপ নিবেন। উঠতি বয়সীরা মনে করে ডিজে পার্টি মানেই উৎসব। কিন্তু এটা তো পূজার উৎসবের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এটা নিয়ে আপনারাই প্রশ্ন তুলেছেন, ডিজে পার্টি কিভাবে দুর্গোৎসবের অংশ হয়। তাই ডিজে পার্টির ব্যাপারে আপনারাই নিরুৎসাহিত করবেন। তিনি এ ক্ষেত্রে ধর্মীয় সঙ্গিত বাজাতে বলেছেন।
পুজোর সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, যশোর শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নতুন করে সাজানো হয়েছে। একই সাথে বাকী ৮টি থানা এলাকায় সীমিত পরিসরে হলে ট্রাফিক পুলিশের টিম কাজ করবে। স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা ছাড়া পুরোপুরি যানজট নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে। এজন্য তিনি নেতাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
নির্ধারিত সময়ে প্রতীমা বিসর্জনের বিষয়ে পুলিশ সুপার রওনক জাহান কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেন সরকার নির্ধারিত রাত ৭টার মধ্যে প্রতীমা বিসর্জন দিতে হবে। রাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত সবার জন্য। কিন্তু বিশেষ কারণে ওই সময়ের মধ্যে বিসর্জন দিতে না পারলে কোনভাবে রাত ১০টা পার করা যাবে না। একই সাথে মাদকের জিরোটলারেন্স করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবুল বাসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রুহুল আমিন, যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন ও সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও যশোর জেলা কমিটির সদস্য সচিব নির্মল কুমার বিট, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক অলোক ঘোষ, বৈষম্যবিরোধী সনাতন সমাজের যশোর জেলার আহবায়ক মৃণাল কান্দি দে, সদস্য সচিব অধ্যাপক অখিল চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চৌগাছা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পাল, শার্শার সভাপতি বৈদ্যনাথ দাস, ঝিকরগাছার সভাপতি দুলাল অধিকারী, সদরের সভাপতি রবিন পাল, কেশবপুর উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দুলাল সাহা, বাঘারপাড়া উপজেলা সভাপতি প্রণয় সরকার প্রমুখ।
এ বিষয়ে যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন গ্রামেরকাগজকে বলেন, ইতিমধ্যে যশোর জেলা পুলিশ সুপার ছাড়াও ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, জেলা বিএনপির সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে, দ্রুত জামায়াত ইসলামের সাথে বতবিনিময় করা হবে। এছাড়া মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে তাদের মতবিনিময় সভার কথা রয়েছে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস বিফ্রিং করে আরও বিস্তারিত জানানো হবে। তবে, জেলা পুলিশের শর্তগুলো মেনেই পূজা উৎযাপনের আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নির্মল কুমার বিট বলেন, ফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্দিরমন্ডবে সুরক্ষা সেল তৈরী করা হবে। ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি তারা কাজ করবে । যেকোনো সমস্যায় তারা একট্টা হয়ে কাজ করবেন।
দীপংকার দাস রতন ও নির্মল কুমার বিট দুইজনেই বলেন, সূষ্ঠভাবে পূজা উৎযাপনে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত পাশে থেকে দিক নির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এ বছর যশোর জেলায় ৭০৫টি মন্দির ও মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা হবে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১৬২টি, অভয়নগরে ১২৭টি, কেশবপুরে ৯৮টি, মণিরামপুরে ৯৬টি, বাঘারপাড়ায় ৯১টি, ঝিকরগাছায় ৫৪টি, চৌগাছায় ৪৮টি ও শার্শায় ২৯টি মন্দির রয়েছে। ২০২৪ সালে জেলায় ৬৫২টি শারদীয় দুর্গাপূজা হয়েছিল। ২০২৩ সালে জেলা মোট মন্দির ও মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৭৩৩টি। সেই হিসেবে গত বছর ৮১টি মন্দিরে দুর্গাপূজা কমলেও এবার বেড়েছে ৫৩টি। এ বছর এয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আগে পূজা হওয়ায় আগাম সতর্কতার পাশাপাশি নিরাপত্তায় জোর দিয়েছে সরকার ।