কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার ২৭ বিল এলাকার ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পানি দ্রুত নিষ্কাশনে স্বেচ্ছাশ্রমে ডায়ের খালের কচুরিপানা অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শতাধিক মানুষ এ কার্যক্রমে অংশ নেন।
কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার মকবুল হোসেন মুকুল এবং মনিরামপুর উপজেলার দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে প্রায় আড়াই কিলোমিটার খালের কচুরিপানা অপসারণ করা হয়। এখনো সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার খালের কচুরিপানা অপসারণ বাকি আছে, যা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরি ঘ্যাংরাইল নদীসহ সংযোগ খালগুলো পলিতে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় ২৭ বিল এলাকার ৬৮টি গ্রাম ভয়াবহ জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। চাষযোগ্য প্রায় ৫৫ হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধ থাকায় কৃষকরা কোন কৃষিকাজ করতে পারছেন না। ফলে অনেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
২৭ বিল পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মাষ্টার মকবুল হোসেন মুকুল বলেন, “জলাবদ্ধ পানি নিষ্কাশনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভূমিকা এখনো চোখে পড়েনি। আমরা নিজেদের উদ্যোগে বিল খুকশিয়ার ৮ ভেন্ট স্লুইসগেটের সামনে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে পুনঃখনন কাজ করেছি। এখন কচুরিপানা অপসারণ শুরু করেছি।”
কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন শিকদার বলেন, “হরি নদী, হরিহর নদ ও আপার ভদ্রা নদীসহ ১০টি সংযোগ খাল পুনঃখননের প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে এবং অর্থ বরাদ্দও পাওয়া গেছে। শুষ্ক মৌসুমে কাজ শুরু হলে জলাবদ্ধ পানি নিষ্কাশন সম্ভব হবে।”







