অভয়নগরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শামীম শেখকে হত্যার ঘটনায় অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার সকালে মামলাটি করেছেন শামীমের বাবা ওহিদুল শেখ। আসামিরা হলেন, রানাগাতি গ্রামের আফসার আকুঞ্জির ছেলে মিজানুর রহমান আকুঞ্জি এবং একই গ্রামের ইসলাম ফকিরের ছেলে সাইফুল ফকির। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৮–১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি অভয়নগর থানা পুলিশ।
মামলার বাদী জানান, বুধবার রাত ১০টার দিকে শামীম শেখসহ একই এলাকার মো. আরমান আকুঞ্জি, আল আমীন ও নাইম শুভরাড়া গ্রামের আশফাক উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়িতে বসে মোবাইল ফোনে গেম খেলছিলেন। এসময় আসামিরা সেখানে এসে তাদের চোখে লাইট মারে। আরমান বলেন, “তোরা কারা?”। তখন আসামিদের মধ্যে একজন বলে, গুলি লোড কর। এই কথাটি শুনে শামীম শেখসহ তার বন্ধুরা দৌড় দেন। এসময় আসামিরা দুইটি গুলি ছুঁড়ে, যার একটি শামীম শেখের কপালের পাশে লাগে। আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে আসামিরা ককটেল ছোড়ে পালিয়ে যায়। যা মিজান গাজীর দেয়ালে বিস্ফোরিত হয়। পরে শামীম শেখকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৪০ মিনিটে তিনি মারা যান। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, একই দিনে সন্ধ্যা ৭টার সময় প্রধান আসামি মিজানুর রহমান আকুঞ্জি নিহত শামীমকে হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন।
অভয়নগর থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অভয়নগর থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শণকালে জানতে পেরেছি গুলিতে আহত শামীম শেখ চরমপন্থীদলের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।







