রনি হোসেন, কেশবপুর (যশোর): যশোরের কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের নুসরাত জাহান লিজা বাড়ির আঙিনায় সৌদি খেজুরের বাগান গড়ে তুলেছেন। তার বাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে মরিয়ম, আজওয়াসহ একাধিক জাতের লাল টসটসে খেজুর। দীর্ঘ ছয় বছরের পরিশ্রমে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে রোপণ করা গাছে এবার এসেছে প্রথম ফলন।
লিজা উপজেলা’র আব্দুল লতিফের মেয়ে ও রবিউল ইসলামের স্ত্রী। তিনি বর্তমানে বিএ পরীক্ষার্থী। পড়াশোনা ও সংসারের পাশাপাশি খেজুর চাষকে বেছে নিয়েছেন উদ্যোক্তা হওয়ার পথ হিসেবে। তার বাড়ির সামনে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি খেজুর গাছ রয়েছে, যার মধ্যে তিনটিতে এবার ফলন এসেছে।
প্রথম গাছে চার কাঁদি খেজুর ধরেছে। প্রতিটি কাঁদিতে ১০–১২ কেজি খেজুর থাকবে বলে আশা করছেন তিনি। ইতোমধ্যে খেজুর লালচে রঙ ধারণ করেছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পেকে যাবে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।
লিজা জানান, এক আত্মীয় হজ থেকে ফেরার সময় সৌদি খেজুর নিয়ে আসেন। সেই খেজুরের বীজ থেকে চারা তৈরি করে তিনি বাড়ির আঙিনায় রোপণ করেছিলেন। এখন সেই উদ্যোগই তাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।
বাজারে সৌদি খেজুরের কেজি প্রতি দাম ধরা হচ্ছে এক হাজার থেকে বারোশ টাকা। প্রথমবারের ফলনেই তিনটি গাছ থেকে এক লাখ টাকার বেশি বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। গাছের গোড়ায় নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে ভার্মি কমপোস্ট (কেঁচো সার), যা ফলনের মান উন্নত করছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে তার বাগান পরিদর্শন করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এই অঞ্চলে প্রথমবার সৌদি খেজুর উৎপাদন করে সফল হতে যাচ্ছেন তিনি। তার এই সাফল্য দেখে অন্যরাও অনুপ্রাণিত হবেন। আমরা তাকে নিয়মিত পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছি।”







