মাস্কের মতে, অ্যাপল এমনভাবে তালিকা সাজাচ্ছে যাতে ওপেনএআই ছাড়া অন্য কোনো এআই প্রতিষ্ঠান সুবিধা না পায়। এটি ‘স্পষ্টতই প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন’ বলে তিনি উল্লেখ করেন এবং জানান, এক্সএআই তাৎক্ষণিক আইনি পদক্ষেপ নেবে। তবে এখন পর্যন্ত মামলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ের করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
প্রযুক্তি–বিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে বর্তমানে ফ্রি আইফোন অ্যাপ তালিকায় চ্যাটজিপিটি প্রথম স্থানে রয়েছে, আর গ্রোক আছে ষষ্ঠ স্থানে। এমনকি চলতি বছরের জানুয়ারিতে চীনের ডিপসিক এআই সাময়িকভাবে চ্যাটজিপিটিকে সরিয়ে প্রথম স্থানে উঠে এসেছিল। ফলে মাস্কের দাবি যে “অন্য কোনো এআই অ্যাপ শীর্ষে উঠতে পারে না”—তা বাস্তবে সঠিক নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, মাস্কের এই অভিযোগে বিদ্রূপাত্মক দিক রয়েছে। কারণ, ২০২২ সালে টুইটার অধিগ্রহণের পর তিনি নিজেই প্ল্যাটফর্মের অ্যালগরিদম বদলে নিজের পোস্টকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের একটি গবেষণাতেও দেখা গেছে, এক্স ইচ্ছাকৃতভাবে মাস্কের পোস্ট বেশি প্রচার করে। ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যানও এই প্রসঙ্গে আগের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছিলেন, যেখানে বলা হয়েছিল—মাস্ক নিজ পোস্ট সব ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন।
মাস্ক ও অ্যাপলের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তিনি ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা হলেও প্রতিষ্ঠানটি মুনাফাভিত্তিক হওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেন, যা প্রত্যাখ্যাত হয়। গত বছর অ্যাপল ও ওপেনএআই একসঙ্গে আইফোন, আইপ্যাড ও ম্যাকে চ্যাটজিপিটি যুক্ত করার ঘোষণা দিলে মাস্ক হুমকি দেন—তার কোম্পানিতে অ্যাপল পণ্য নিষিদ্ধ করা হবে।