Friday, December 5, 2025

দেড় কিলোমিটার ড্রেনের অভাবে তলিয়ে গেছে ৪ হাজার বিঘা জমি, ক্ষতির আশঙ্কা ৫০ কোটি টাকার বেশি

টানা তিন মাসের বৃষ্টিতে যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারানপুর ইউনিয়নের সোনাবেলে ও ফাসতলা মাঠের প্রায় ৪ হাজার বিঘা কৃষিজমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার কৃষক পরিবার। কৃষকদের দাবি, মাত্র দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ড্রেন নির্মাণ করলেই এই জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব, অথচ দীর্ঘ ৩০ বছরেও তা হয়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সোনাবেলে ও ফাসতলা মাঠজুড়ে থৈ থৈ করছে পানি। ধান, কলা, পাট, ড্রাগন ও পেয়ারা বাগানসহ বিভিন্ন মৌসুমি সবজি ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষক মফিজুল ইসলাম বলেন, “প্রতি বছর ধান ও পাট তোলার আগেই পানি এসে সব ডুবিয়ে দেয়। কোনোভাবেই আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারছি না।”
আব্দুল মালেক নামের আরেক কৃষক জানান, “পানি না থাকলে বছরে তিন থেকে চারবার ফসল ফলানো সম্ভব হতো। এখন জমিগুলো একফসলি হয়ে গেছে।”

স্থানীয় কৃষক তরিকুল ইসলাম ডাবলু জানান, “মাত্র দেড় কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করে এসব জমির পানি কপোতাক্ষ নদে ফেলা সম্ভব। অথচ দীর্ঘদিন ধরে আমরা অবহেলিত।” তিনি জানান, সম্প্রতি তিনি উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুশাব্বির হোসাইন জানান, “এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিষয়টি চিহ্নিত করে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি।”

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা ইসলাম বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষকদের একটি আবেদন পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, নারানপুর ইউনিয়নের চাঁদপাড়া, গোয়াতুলি, বড় খানপুর, কেশমত খানপুর, বাদেখানপুর, নারানপুর, বন্দলীতলা ও বাটিকামকুলি গ্রামের মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থিত সোনাবেলে ও ফাসতলা মাঠ। প্রতি বছরই এসব এলাকার ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষি খাতে কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর