দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষে প্রাণহানি ও উদ্বেগ বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে কম্বোডিয়া। শনিবার (২৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিয়া কেও বলেন, তার দেশ ‘নিঃশর্তভাবে’ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। তিনি জানান, নমপেন এই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
তবে থাইল্যান্ড এখনো প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। শুক্রবার (২৫ জুলাই) থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকোরন্দেজ বালানকুরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এই সংকটের আমরা দ্বিপাক্ষিক সমাধান চাই। এখনই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই বলে মনে করি।’
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ১৩০ জন। জীবন বাঁচাতে থাই সীমান্ত এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে প্রায় এক লাখ বেসামরিক মানুষ। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছে কম্বোডিয়াও।
সংঘাত পরিস্থিতি ঘিরে উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর এবং ভালো প্রতিবেশীর মনোভাব নিয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর আহ্বান জানান।
এদিকে, জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ফু কং বলেন, ‘উভয় দেশকেই সংযম প্রদর্শন করতে হবে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথেই ফিরে যেতে হবে।’
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক ডাকা হয়েছে। দুই দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠি দিয়ে বৈঠকের অনুরোধ জানায়। এই বৈঠকে জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও শান্তি স্থাপনবিষয়ক বিভাগ সংঘর্ষ পরিস্থিতি নিয়ে হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করবে।
অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০১







