যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌর এলাকায় আবারও রমরমা মাদক ব্যবসা শুরু হয়েছে। সেনা ও পুলিশের সাময়িক অভিযানে কিছুদিন মাদক কারবারিরা গা ঢাকা দিলেও এখন তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এলাকায় একাধিক স্পটে প্রকাশ্যে চলছে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল ও গাঁজার বেচাকেনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ মাদক ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন রুহুল আমিন, ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ খ্যাত লিপি বেগম ও রেক্সোনা সহ আরও কয়েকজন কুখ্যাত মাদক কারবারিরা। এদের রয়েছে একাধিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট, যারা নওয়াপাড়াকে আবারও অশান্ত করে তুলছে। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা, একাধিকবার আটকও হয়েছেন। কিন্তু কয়েকদিনের মাথায জামিনে বের হয়ে ফের একই কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছেন।
সূত্রটি জানায়, ২০১৮ সালে বন্দুকযুদ্ধে চিহ্নিত মাদক কারবারী শহিদুল নিহত হওয়ার পর এলাকায় কিছুটা স্থিতি ফিরে এসেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবারও কয়েকটি স্থানে স্পট খুলে দেদারসে চলছে মাদক বেচাকেনা। এর মধ্যে নওয়াপাড়া রেলওয়ে স্টেশন, বুইকারার ড্রাইভারপাড়া, গুয়াখোলা মডেল স্কুলের আশপাশ এবং রেলবস্তি এলাকাগুলো অন্যতম।
স্থানীয়দের দাবি, এই ব্যবসার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা আরও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, যারা একটি অফিসের মাধ্যমে পুরো ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। এমনকি সেই অফিসে বসে সিসিটিভির মাধ্যমে প্রশাসনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণও করা হচ্ছে নিয়মিত।
এদিকে, মাদকের টাকার জোগান দিতে গিয়ে বাড়ছে চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ। সম্প্রতি এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষ, বিবাদ ও সহিংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি সচেতন মহলকে চিন্তিত করে তুলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যকে ম্যানেজ করে দিনের পর দিন স্পটগুলোতে অবাধে চলছে এই মরণনেশার ব্যবসা।
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আলিম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বিশেষ প্রতিনিধি







