কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুরে স্থানীয় যুবসমাজ ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে হরিহর নদী থেকে কচুরিপানা অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ১৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রম টানা তিন দিন ধরে বৃষ্টির মধ্যেও অব্যাহত রয়েছে। নদীর মাঝপ্রবাহে স্বেচ্ছাশ্রমে কচুরিপানা সরিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ উন্মুক্ত করছেন তারা।
অতিরিক্ত কচুরিপানার কারণে দীর্ঘদিন ধরে হরিহর নদীর পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। ফলে বর্ষা মৌসুমে প্লাবন ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, যা জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়। এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন সমাজের সচেতন কিছু তরুণ।
এই কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি মিরাজ বিশ্বাস। তার সঙ্গে ছিলেন হৃদয় ব্লাড ব্যাংকের এডমিন বাবু বিশ্বাস, ‘প্রিয় কেশবপুর’ পেজের এনামুল কবির সবুজ, আশরাফুল, নয়ন, আলীম, ইকরামুল, সারাফাত, মোহাম্মদ ও সাদসহ প্রায় দুই ডজন তরুণ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম সুইট, পরিচালক—বর্ণমালা একাত্তর।
স্থানীয়রা জানান, হরিহর নদী কেশবপুর শহর ছাড়াও আশপাশের অনেক গ্রামের পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম। কিন্তু কচুরিপানার কারণে তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকরা বলেন, “সরকারি উদ্যোগ না থাকলেও আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। নিজেদের এলাকা রক্ষা করতে হলে আমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে।”
তারা দাবি করেন, শুধু কচুরিপানা সরালেই চলবে না, প্রয়োজন নদী খনন ও দীর্ঘমেয়াদী পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।







