Friday, December 5, 2025

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১১০ ফিলিস্তিনি

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় লাশের মিছিলে যোগ হয়েছে আরও অন্তত ১১০ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৩৪ জন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর একটি ত্রাণকেন্দ্রের সামনে সহায়তার জন্য অপেক্ষমাণ অবস্থায়। শনিবার (১২ জুলাই) এই নৃশংস হামলা চালানো হয় দক্ষিণ রাফাহ শহরের আল-শাকুশ এলাকায়।

এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ইসরায়েলি বাহিনীর এমন সহায়তা কেন্দ্রে হামলাকে ‘মানব হত্যাযন্ত্র’ এবং ‘মৃত্যুর ফাঁদ’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, এটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের চূড়ান্ত উদাহরণ।

গাজার চিকিৎসকদের তথ্য অনুযায়ী, গত মে মাসের শেষ দিক থেকে জিএইচএফ-এর কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ ধরনের ত্রাণ বিতরণকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮০০-র বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।

আল-আকসা হাসপাতালের মুখপাত্র খলিল আল-দেগরান জানান, নিহতদের অধিকাংশের মাথা ও পায়ে গুলির চিহ্ন ছিল। তিনি বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের চরম সংকটে আমরা দিশেহারা।

একইদিনে গাজার অন্যান্য এলাকাতেও চালানো হামলায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তুফাহ এলাকার জাফফা স্ট্রিটে একটি বাসায় বোমা হামলায় নিহত হন চারজন এবং আহত হন অন্তত ১০ জন। জাবালিয়ার দুটি আবাসিক ভবনে ১৫ জন নিহত হন। শাতি শরণার্থী শিবিরে প্রাণ হারান আরও সাতজন। এছাড়া, উত্তর গাজার বেইত হানুন এলাকায় প্রায় ৫০টি বোমা নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় তারা গাজায় ২৫০ বার বিমান ও স্থল হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে তারা গাজায় খাদ্য ও মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যদিও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো আগেই এই অঞ্চলে দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস শনিবার জানিয়েছে, অপুষ্টির কারণে এখন পর্যন্ত ৬৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আরও প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার শিশু চরম অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে। মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়, গত তিন দিনে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতিতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এটি এক চরম নিষ্ঠুর মানবিক বিপর্যয়।

অনলাইন ডেস্ক/আর কে-০৩

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর