Saturday, December 6, 2025

নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা বহিষ্কার, দু’জন পুনর্বহাল

নড়াইল প্রতিনিধি: শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলীয় আদর্শ পরিপন্থি আচরণের অভিযোগে নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় অপর দুই নেতাকে পুনর্বহাল করা হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে সংগঠনের জেলা শাখার সদস্য সচিব শাফায়াত উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ৩ জুলাই তিন নেতার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি শোকজ নোটিশ জারি করে সংগঠনটি। সেই চিঠি রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

বহিষ্কৃত নেতা রাশেদুল ইসলাম মামুন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নড়াইল সদর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। অপরদিকে পুনর্বহাল হওয়া দুই নেতা হলেন জেলা শাখার যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রহমান মেহেদী ও আমিরুল ইসলাম রানা।

সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাশেদুল ইসলাম মামুন দলীয় গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং আদর্শ পরিপন্থি আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

অন্য বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পূর্বের কিছু সাংগঠনিক অসংগতি ও শৃঙ্খলাভঙ্গজনিত কারণে আব্দুর রহমান মেহেদী ও আমিরুল ইসলাম রানা শোকজের আওতায় আসেন। পরবর্তীতে তারা দুঃখ প্রকাশ করে সংগঠনের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন এবং ভবিষ্যতে গঠনতন্ত্র অনুসরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার করেন। এজন্য কমিটির জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাদের সাধারণ ক্ষমা ও পূর্বের পদে পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বহিষ্কৃত নেতা রাশেদুল ইসলাম মামুন বলেন, “আমি বহিষ্কারের বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছি, কিন্তু এখনও কোনো চিঠি হাতে পাইনি। আমি আপিল করব এবং আশা করি, কমিটি সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করবে।”

সংগঠন সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন সংগঠনের ফেসবুক পেজে জেলা প্রশাসককে উদ্দেশ্য করে একটি পোস্ট দেন যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রহমান মেহেদী। পোস্টে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি ছবি সংযুক্ত করে প্রশাসনের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। পরে অপর যুগ্ম সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন, যা নিয়ে মেসেঞ্জার গ্রুপে দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।

পরবর্তীতে ৯ জুন নড়াইল শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় আব্দুর রহমান মেহেদী ও আমিরুল ইসলাম রানার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে দুই-তিনজন আহত হন। সংঘর্ষে অংশ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে রাশেদুল ইসলাম মামুনের বিরুদ্ধে। এরপর ১১ জুন তিন নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে সংগঠনটি।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর