শার্শা, যশোর: যশোরের শার্শা উপজেলায় দুই সন্তানের জননী (৩৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের পরদিন স্থানীয় মাতব্বররা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিশ বসিয়ে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ধরনের গুরুতর অপরাধের বিচার গ্রাম্য সালিশে করায় স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী খুলনায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ প্রায়শই ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করতেন। গত মঙ্গলবার গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে আব্দুল্লাহ তার দুই বন্ধু আমজেদ আলী ও সিরাজকে সঙ্গে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যান।
ঘটনাটি জানাজানি হলে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হোসেন এবং আকবার আলীর নেতৃত্বে একটি সালিশি বৈঠক বসে। সালিশে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তদের বেদম মারপিট করা হয় এবং তিন লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হোসেন তিন লক্ষ টাকা জরিমানা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এলাকাবাসীর অনুরোধে সালিশি বৈঠকে বসা হয়েছিল।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম জানান, ঘটনা জানার পর ভিকটিম গৃহবধূকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত আব্দুল গফুরের ছেলে আমজেদ আলী, আক্তারের ছেলে আব্দুল্লাহ ও টুকুর ঘর জামাই সিরাজ পলাতক রয়েছেন এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। নির্যাতিতা গৃহবধূ বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।







