Thursday, July 17, 2025

মানবতার সেবায় বিশ্বমঞ্চে যশোরের উদ্ভাবক মুন

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে বাংলাদেশের উদ্ভাবনী সাফল্য খুব বেশি চোখে পড়ে না। অথচ সেই নিরব বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রায় এক নতুন আশার আলো হয়ে উঠেছে যশোরের সন্তান, তরুণ উদ্ভাবক শেখ নাঈম হাসান মুন। ছোটবেলার সেই ‘ড্রোনবয়’ এখন বিশ্বমঞ্চে দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে। তার উদ্ভাবিত প্রকল্প হোপহ্যান্ড বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ প্রতিযোগিতা এন্টারপ্রেনারশিপ ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২৫-এ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে নির্বাচিত শীর্ষ ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।

‘হোপহ্যান্ড’ কোনো সাধারণ প্রযুক্তি নয়—এটি ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্য উপাদান থেকে তৈরি একটি স্বল্পমূল্যের কৃত্রিম হাত। যার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী মানুষদের জীবনে বাস্তব পরিবর্তনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মুন ও তার দল রেইন কেবল প্রযুক্তির উন্নয়নেই থেমে নেই, তারা জীবন বদলে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছে—একটি মানবিক ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে।

যশোর শহরের উপশহর আবাসিক এলাকার বাসিন্দা, সাংবাদিক রাজেক জাহাঙ্গীর ও হাসনা জাহাঙ্গীরের একমাত্র সন্তান মুন ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ও উদ্ভাবনী চেতনায় ভরপুর। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোন, সাইবার স্পাই মেশিন, স্মার্ট ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, মাল্টিটাস্কিং রোবট কিংবা কৃষিবন্ধু—তার হাতে গড়া অসংখ্য প্রকল্প ইতোমধ্যেই বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।

আন্তর্জাতিক বিচারকরাও মুনের উদ্ভাবনের প্রশংসা করেছেন। আর আজ সেই ধারাবাহিকতায় মুন যখন ‘হোপহ্যান্ড’ নিয়ে বিশ্বমঞ্চে, তখন শুধু যশোর নয়, গর্বিত গোটা দেশ।

এই তরুণ উদ্ভাবকের চোখে স্বপ্ন—বিজ্ঞানকে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো। মুন নিজেই বলেছে, “আমার প্রত্যেকটা আবিষ্কার দেশের মানুষের জন্য। আমি শুধু যন্ত্র বানাতে চাই না, মানুষের জীবন সহজ করতে চাই।”

যশোরের মাটি থেকে উঠে আসা এমন একজন উদ্ভাবকের এই সাফল্য কেবল ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং গোটা দেশের বিজ্ঞানচর্চা ও সম্ভাবনার জন্য একটি উদ্দীপনামূলক বার্তা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বাবা-মা সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন—যেন মুন ও তার টিম মানবতার সেবায় আরও এগিয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর