প্রথমবারের মতো চীনে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের আম, আর এই ঐতিহাসিক রপ্তানির অংশ হিসেবে রয়েছে যশোরের সুস্বাদু আম। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যশোর ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের ১০ টন আমের একটি চালান চীনের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে।
চীনের বাজারে এর আগে কখনো বাংলাদেশি আম প্রবেশ করেনি। দীর্ঘ ছয় বছরের প্রস্তুতি ও দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর অবশেষে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ মৌসুমে মোট ১০০ টন আম চীনে রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। এর প্রথম চালানে যশোরের বিভিন্ন বাগান থেকে সংগ্রহ করা উন্নত জাতের আম পাঠানো হচ্ছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, “আজ প্রথম দফায় চীনে যাচ্ছে ১০ টন আম। এরপর ধাপে ধাপে আরও আম রপ্তানি করা হবে।”
এ উপলক্ষে আজ সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে আম রপ্তানি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে চীনে আমসহ কিছু কৃষিপণ্য রপ্তানির অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। তবে করোনা মহামারিসহ নানা কারণে প্রক্রিয়াটি পিছিয়ে যায়। গত ২৮ এপ্রিল চীনের রাষ্ট্রদূত চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি আমবাগান পরিদর্শন করার পর রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত এগোয়।
বাংলাদেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আম উৎপাদন হয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৩২১ টন। গত বছর বাংলাদেশ ২১টি দেশে আম রপ্তানি করেছে। এবার চীন যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের আম রপ্তানিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলল, বিশেষ করে যশোর অঞ্চলের চাষিদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হয়ে উঠছে।







