Friday, December 5, 2025

ফাইভ–জি তরঙ্গ স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ নয়: জার্মান গবেষণা বলছে ভিন্ন কথা

দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ এনে দিলেও পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফাইভ–জি নিয়ে অনেকের মনে রয়েছে নানা শঙ্কা। বিশেষ করে এর তড়িৎ–চুম্বকীয় তরঙ্গ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে কি না, এ নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক। তবে নতুন এক গবেষণায় সেই শঙ্কার ভিত্তি নেই বলেই জানালেন বিজ্ঞানীরা।

জার্মানির কনস্ট্রাক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চক্ষমতার ফাইভ–জি নেটওয়ার্কের তরঙ্গ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না—even চরম পরিস্থিতিতেও। গবেষণার ফলাফল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সাময়িকী PNAS Nexus-এ।

গবেষণার সময় মানবত্বকের ফাইব্রোব্লাস্ট ও কেরাটিনোসাইট নামের দুটি কোষকে ২৭ থেকে ৪০.৫ গিগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে সরাসরি ফাইভ–জি তরঙ্গের সামনে উন্মুক্ত করা হয়। বিজ্ঞানীরা জানান, তরঙ্গের প্রভাবে কোষের জিনগত কাঠামো, ডিএনএ মিথাইলেশন কিংবা জিন এক্সপ্রেশনে কোনো ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়নি।

গবেষকেরা আরও জানান, ৩ গিগাহার্টজ পর্যন্ত তরঙ্গ ত্বকের প্রায় ১০ মিলিমিটার গভীরে প্রবেশ করতে পারে। তবে ১০ গিগাহার্টজ বা তার বেশি তরঙ্গ মাত্র ১ মিলিমিটারের বেশি গভীরে প্রবেশ করতে পারে না, ফলে এটি ত্বকের নিচে কোনো জৈবিক মিথস্ক্রিয়া ঘটানোর ক্ষমতা রাখে না।

এই গবেষণা ফাইভ–জি প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিয়ে চলমান বিতর্কে নতুন তথ্য যোগ করল। প্রযুক্তি বিশ্বে দ্রুত সংযোগের যে প্রয়োজন, সেখানে স্বাস্থ্যসুরক্ষার নিশ্চয়তা পাওয়াটা নিঃসন্দেহে স্বস্তির খবর।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর