মহব্বত আলী, চুড়ামনকাটি: যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের নলডাঙ্গা গ্রামে ধানের সঙ্গে বালু মিশিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে এক কৃষকের বিরুদ্ধে। রোববার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটলে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নতুন আড়ত ব্যবসায়ী নলডাঙ্গার সাইদুর রহমান ধান ক্রয়ের জন্য মাঠপাড়ার কৃষক আমীর হোসেনের কাছ থেকে ৩০ বস্তা ধান কেনেন। প্রতি বস্তায় ৬০ কেজি করে ধান থাকার কথা ছিল। সাইদুর ধান পরিবহনের জন্য ট্রাকে অপেক্ষা করছিলেন, আর আমীর হোসেন ধান এনে দেন। ধান ট্রাকে তোলার সময় শ্রমিকদের মাথায় বালুর কণা পড়লে সন্দেহ হয়। পরে কয়েকটি বস্তা পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রতিটি বস্তায় সমপরিমাণ বালু মেশানো হয়েছে।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং আমীর হোসেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে। পরে সাইদুর প্রতারণার প্রমাণস্বরূপ ৩০ বস্তা ধান তার ঘরে রেখে দেন। তিনি বলেন, “আমি আমীরের কাছ থেকে ভালো ধান ভেবে বেশি দামে কিনেছি। সে এলাকার লোক হওয়ায় কোনো মাপ ছাড়াই বিশ্বাস করেছিলাম। আমার শ্রমিকরা বিষয়টি ধরতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষতি হতো।”
সাইদুর আরও জানান, গাড়ি ছেড়ে দিতে না পারায় তার প্রায় ১২ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনার পর আমীর হোসেনকে বাড়িতে পাওয়া না গেলেও তার স্ত্রী বলেন, “আমার স্বামী ভুল করেছে। মাত্র ৪ গামলা বালি মিশিয়েছে। এটা অবশ্যই তার ভুল।”
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মুজাহিদ ইসলাম বলেন, “এ ধরনের প্রতারণা এলাকার বদনামের কারণ। যেই অন্যায় করুক, তার শাস্তি হওয়া উচিত।” বিএনপির স্থানীয় এক নেতা জানান, “আমীর কোনো রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী নয়। সে একজন সাধারণ কৃষক।”







