Friday, June 20, 2025

লামায় ২১ লাখ টাকা উদ্ধার, ডাকাতি মামলায় আটক ৮

নাজমুল হুদা, বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানের লামা উপজেলায় আলোচিত আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির অফিসে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের একাধিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ২১ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মোট আটজনকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের মধ্যে তিনজন নারী।

পুলিশ জানায়, আটককৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বেশ কিছু অর্থ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। অভিযান চালিয়ে সেই মাটি খুঁড়ে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে ভোররাতে লাইনঝিরি এলাকায় অবস্থিত আবুল খায়ের টোব্যাকো কোম্পানির তামাক ক্রয় অফিসে ১৫-২০ জন দেশীয় অস্ত্রধারী সশস্ত্র ডাকাত হামলা চালায়। অফিসের কর্মচারীদের জিম্মি করে তারা প্রায় ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকা লুট করে নেয়। তবে শক্ত লোহার সিন্দুকে থাকা আরও ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা নিতে ব্যর্থ হয় ডাকাতরা।

ঘটনার পর ১০ মে লামা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই পুলিশ লামা ও কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকায় অভিযান চালায়। এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার পূর্ব ভেউলা এলাকার মারুফুল ওরফে আরিফ (৩৩), লক্ষ্যাচর এলাকার নাঈমুল ইসলাম ওরফে সাগর (৩১), লামা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম (৩৬), মো. সুজন (২৫), বিলছড়ি এলাকার আনোয়ারা বেগম (৪৫), এবং করিমের স্ত্রী ও বোনসহ আরও একজন পুরুষ (যাদের নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি)।

১৭ মে করিমের স্ত্রীকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে দুটি স্থানে অভিযান চালিয়ে মাটি খুঁড়ে ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে আব্দুর রহিমের কাছ থেকে ৫০ হাজার ২০০ টাকা, এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৬ মে রাতে ওয়াসের আলীর পাহাড়ি জমি থেকে ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

লামা থানার তদন্ত কর্মকর্তা এনামুল হক জানান, “আটক মো. করিম দক্ষিণ চট্টগ্রামের একটি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং এই ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে।”

লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “মামলার পর থেকেই অভিযান চলছে। আমি এখনো দুর্গম এলাকায় আছি (শনিবার বিকেল ৪টার সময়)। আটকদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছেন। আরও আসামিদের গ্রেফতার ও লুট হওয়া সম্পূর্ণ অর্থ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর