আজম খান, বাঘারপাড়া (যশোর): যশোরের বাঘারপাড়ার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন বিশ্বাস (৮৪) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র, দুই কন্যাসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাজহারুল ইসলাম খোকনের পিতা।
বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এএফএম আসলাম হোসেন জানান, মহিউদ্দীন বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে ব্রেইন টিউমারসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রোববার (১১ মে) ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
সোমবার বাদ আসর ভিটাবল্লা হাইস্কুল মাঠে জানাজা শেষে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমকে দাফন করা হয়। জানাজায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুব, যশোর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক এএফএম আসলাম হোসেন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মিন্টুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
মহিউদ্দীন বিশ্বাস বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। দল গঠনে তাঁর ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং তিনি বহুবার রাজনৈতিক কারণে কারাবরণও করেছেন। ১৯৭৭ সালে তিনি জামদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
রাজনীতি ও সমাজসেবার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ভিটাবল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অবসরের পরও তিনি শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। তিনি নিজের জমি দান করে ভিটাবল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা এবং জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
মরহুম মহিউদ্দীন বিশ্বাসের মৃত্যুতে এলাকাবাসী গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।