যশোরে এক নারী উদ্যোক্তার প্রতারণা মামলায় আরেক নারী উদ্যোক্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মীমাংশার শর্তে জামিন নিয়ে নয়ছয় করায় নারী উদ্যোক্তা শাহরিয়া সিদ্দিকাকে বিচারক জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শাহরিয়া সিদ্দিকা শহরের সার্কিট হাউজ পাড়ার সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেন আরেক নারী উদ্যাক্তা উপশহর বি ব্লক বাজারের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ফাতেমা জোহরা।
আদালত সূত্র জানায়, আসামি ও বাদী দুই বান্ধবী ছিলেন। তাদের সাথে ১৫ বছর ধরে সুসম্পর্ক ছিলো। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃক্ষযশোর হাউজিং এস্টেটে পাঁচ শতক প্লট বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেন। যা ওই দুই বান্ধবী একসাথে দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়ে আসামির নামে আবেদন করেন। কথা ছিলো যদি লটারিতে প্লট পাওয়া যায় তাহলে দুজনেই সমানভাবে ভাগ করে নিবেন। যা ভিডিও করে রাখা হয়। ২০২৩ সালে ২২ নভেম্বর লটারীতে শাহরিয়া সিদ্দিকা ওই জমি বরাদ্দ পান। কিন্তু এ খবর গোপন করেন শাহরিয়া সিদ্দিকা। এছাড়া বাদীর দেয়া এক লাখ টাকা কৌশলে ব্যাংকের মাধ্যমে ফেরত দেন। পরবর্তিতে ফাতেমা জানতে পারেন প্লট বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়টি। তিনি ভাগ চাইলে নানা ধরনের তালবাহানা করেন শাহরিয়া সিদ্দিকা। একপর্যায় ২০২৪ সালের শুরুতে আদালতে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন ফাতেমা। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে ডিবির এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজীব। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পায় ডিবি। আদালত বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়ে দুই পক্ষর উপস্থিতিতে শুনানি করে। নির্দেশ দেয় বিষয়টি মিমাংশার জন্য। কিন্তু শাহরিয়া সিদ্দিকা নানা ধরনের তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করেন।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী আশিকুর রহমান আশিক বলেন, মীমাংশার শর্তে অন্তবর্তীকালীন জামিন নেন শাহরিয়া সিদ্দিকা। কিন্তু আদালতের নির্দেশনা না মেনে তালবাহানা শুরু করেন তিনি। রোববার মামলার নির্ধারিত দিনে শাহরিয়া সিদ্দিকা স্থায়ী জামিনের আবেদন জানান। শর্তভঙ্গ করায় বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।