কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদের বসত বাড়িতে হামলার ঘটনায় দেড়মাস পর আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল আদালতে মামলাটি করেছেন ফুয়াদের বাবা শহীদ উল্লাহ। অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক কেশবপুর থানাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন, কেশবপুরের মধ্যকুল গ্রামের রজব আলী বিশ্বাস, তার চার ছেলে মাহাবুবুর রশিদ সবুজ, বিপ্লব হোসেন, আমজাদ হোসেন সাগর, আমজাদ হোসেন পল্টু ও ধলুগাতী গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে নাহিদ ইসলাম সুমন। এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তিনি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। তিনি কেশবপুর পৌর শহরের মধ্যকুল মৌজায় ২০ শতক জমি ১৯৮৪ সালে প্রতিবেশী রজব আলী বিশ্বাসের কাছথেকে কেনেন। ওই জমি নিজের নামে ১৫ শতক ও তার স্ত্রীর নামে ৫ শতক রেজিষ্টি করে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু বিক্রির পর রজব আলী বিশ্বাস ওই জমি দখলে নেয়ার ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় ব্যকডেটে তিনি ওই জমি মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির কাছে দলিল করে দিয়ে একই জমি পরবর্তীতে তার স্ত্রীর নামে দলিল করেন। রজব আলী বিশ্বাসের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম ১৯৮৬ সালে ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা করেন। আদালত পরবর্তীতে ওই মামলা খারিজ করে দেন। এরপর নুরুন্নাহার বেগম আদালতে আরও একটি মামলা করেন। সে মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে। এরমাঝে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোরে আসামিরা বাশের লাঠি, লোহার রড,হাতুড়ী, কুড়ালসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে শহীদ উল্লাহ এর বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে মারপিট, ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলাকারীরা দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে প্রায় ৫/৬ টি ঘরের মালামাল ও দুইটি ঘরের মধ্যে থাকা আসবাবপত্র,আলনা, সোকেজ,ফ্রিজ,ড্রেসিং টেবিল, দুইটা মোটর সাইকেলসহ সকল মালামাল ভাংচুর করে নারকীয় তান্ডব চালায়। তারা ঘরের ওয়াড্রবের ড্রুয়ার ভেঙ্গে নগদ দুই লাখ টাকা ও স্টিলের আলমারী ভেঙ্গে আট লাখ টাকার পাঁচ ভরি স্বর্নালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় তাদের। এরপর এঘটনায় তিনি কেশবপুর থানা ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে অভিযোগ করেন। এতে করে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন আসামিরা। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।
এ বিষয়ে কেশবপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ বলেন, প্রতিপক্ষরা আবারো হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে। পরিবার নিয়ে তিনি আতংকের মধ্য রয়েছেন।







