লেখাপড়ার প্রতি ছিল অসম্ভব টান। স্বপ্ন ছিল কিছু হয়ে ওঠার, নিজেকে গড়ে তোলার। কিন্তু সেই স্বপ্ন থেমে গেল সংসারের দেয়ালে। মাত্র ২০ বছর বয়সে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করলেন শার্শা উপজেলার বেনাপোলের শাদিপুর গ্রামের মেয়ে ঐশী।
ঐশীর বিয়ে হয়েছিল যশোরের ডাকাতিয়া গ্রামে। বিয়ের পরই বন্ধ হয়ে যায় তার পড়াশোনা। পরিবার ও স্বামী—দু’পক্ষই বোঝাতে থাকেন, “তোমার এখন বিয়ে হয়ে গেছে, লেখাপড়া করে কী হবে?” অথচ ঐশীর মন তখনও পড়ায়—বইয়ের পাতায়, স্বপ্নের খাতায়।
তার বাবা সেলিম জানান, “বিয়ের পরও ঐশী প্রায়ই বলত, বাবা আমি পড়তে চাই। কিন্তু জানেন তো, বিয়ের পর মেয়েরা আর লেখাপড়া করতে পারে না।”
এই অভিমান, এই স্বপ্নচাপা কষ্টই শেষ পর্যন্ত বিষে পরিণত হয় ঐশীর জীবনে। জানা গেছে, গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে বাবার বাড়ি থেকে চলে যান শ্বশুরবাড়িতে। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আজ দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করার পর, বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐশী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।