Sunday, April 27, 2025

উইন্ডোজ ১০-এ নিরাপত্তা সুরক্ষা বন্ধ, ঝুঁকি বাড়ছে

মাইক্রোসফট ঘোষণা করেছে, ২০২৫ সালের ১৪ অক্টোবরের পর থেকে আর উইন্ডোজ ১০-এর জন্য কোনো আপডেট বা নিরাপত্তা সুরক্ষা দেওয়া হবে না। এই ঘোষণার ফলে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি উইন্ডোজ ব্যবহারকারী নতুন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন—বদলাবেন, নাকি ঝুঁকি নিয়ে পুরোনো সিস্টেম চালিয়ে যাবেন?

বিশ্বের প্রায় ১০০ কোটি কম্পিউটার এখনো উইন্ডোজ ১০ চালায়, যা ২০২৫ সালের পর সাইবার হুমকির মুখে পড়তে পারে। বিশেষ করে, ২০১৮ সালের আগে তৈরি অনেক কম্পিউটারে উইন্ডোজ ১১ সমর্থন করে না, কারণ এগুলোতে ‘টিপিএম ২.০’ মডিউল নেই। ফলে অনেক ব্যবহারকারীকে হয় নতুন কম্পিউটার কিনতে হবে, নয়তো কোনো বিকল্প পথ বেছে নিতে হবে।

উইন্ডোজ ১১ চালাতে সক্ষম না হওয়া কম্পিউটারগুলো কী করবে? কিছু ব্যবহারকারী পুরোনো হার্ডওয়্যার আপগ্রেড করতে পারেন, তবে সেটি সবার জন্য সহজ নয়। অনেকে লিনাক্সের মতো বিকল্প অপারেটিং সিস্টেমের দিকেও ঝুঁকতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একধরনের প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে ব্যবহারকারীরা নতুন ও নিরাপদ বিকল্পগুলোর সন্ধান করবে।

মাইক্রোসফটের দাবি, উইন্ডোজ ১১ হচ্ছে তাদের সবচেয়ে নিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম। তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক ধাক্কায় এত বিশাল সংখ্যক কম্পিউটারের জন্য আপগ্রেড বাধ্যতামূলক করা ব্যবহারকারীদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

তাহলে কী করা উচিত?

  • যারা উইন্ডোজ ১১-তে আপগ্রেড করতে পারবেন, তারা দ্রুতই সেটি করে নেওয়ার চিন্তা করুন।

  • যারা আপগ্রেড করতে পারবেন না, তারা বিকল্প অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ভাবতে পারেন, যেমন লিনাক্স বা ক্লাউড-ভিত্তিক ওএস।

  • অনলাইনে নিরাপদ থাকতে প্রয়োজনীয় ফাইল ব্যাকআপ রাখতে ভুলবেন না।

বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি খাতের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে চলেছে। ২০২৫ সালের পর দেখা যাবে, ব্যবহারকারীরা পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কতটা প্রস্তুত। একদিকে এটি প্রযুক্তির অগ্রগতির নতুন সুযোগ, অন্যদিকে পুরোনো ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর